আলম সেখ, কলকাতা, আপনজন: নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে ও রমজান মাসের শুরুতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করেছে বিজেপি সরকার, ২০১৯ সালে বিলটি পাশ হলেও সমগ্র দেশ জুড়ে আন্দোলনের জেরে পিছু সরতে বাধ্য হয়েছিল সরকার কিন্তু ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জেতার জন্য রাম মন্দির ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বড় অস্ত্র নেই বিজেপি সরকারের কাছে তাই রাজনৈতিক মহলের বিবৃতি অনুসারে মতোয়া সমাজের ভোট নিতে ও মুসলিম বিদ্বেষী ভোটারদের খুশি করতে ও “মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে” এই আশ্বাস দিতে সিএএ লাগু করেছে বিজেপি সরকার।আইন প্রণয়নকে কেন্দ্র করে যেনো পূর্বের ন্যায় বৃহত্তম আন্দোলন গড়ে না ওঠে তাই পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু তার সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, মিছিল ও সভা গড়ে উঠতে শুরু করেছে, শনিবার এমনই এক প্রতিবাদ সভা দেখতে পাওয়া গেলো কলকাতার পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্টে। গতকাল স্বাধীনতা আন্দোলন ২.০-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিবাদ সভা। সভা থেকে বক্তব্য রাখেন— ২০১৯ সালে সিএএ-এর বিরুদ্ধে পার্ক সার্কাসের সেই ঐতিহাসিক ধর্ণা মঞ্চের উদ্যোক্তা আসমাত জামিলের স্বামী আব্দুল জামিল, জাকারিয়া স্ট্রিটের ধর্ণা মঞ্চের উদ্যোক্তারদের মধ্যে গোলাম ওয়ারিস, আলিয়ার ছাত্র নেতা সাজিদুর রহমান, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উমার ওয়ারিস ও দেবু সাও। সিএএ-এর দ্বারা বিজেপির মূল উদ্দেশ্য ও চক্রান্তকে ব্যাখ্যা করতে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন গোলাম ওয়ারিস। সাজিদুর রহমান তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসার ডাক দেন। তিনি বলেন—সিএএ বিজেপি ছোট্ট একটা এজেন্ডা, ভেতরের রহস্য খুবই গভীর। কেউ যদি মনে করে সিএএ দ্বারা শুধুই মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাহলে সে অন্ধকারে আছে, বিজেপির এই সমস্ত কার্যকলাপ শুধুই মুসলিম বিদ্বেষের কারণে নয়, তাঁরা এই গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে হিন্দু নয় হিন্দুত্ববাদী বিচারধারা দ্বারা পরিচালনা করতে চাই, স্বৈরতন্ত্র লাগু করে দেশকে ব্রাহ্মণবাদের হাতে তুলে দিতে চাই যেখানে মানুষ বলে শুধু তারাই গণ্য হবে। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিএএ, এনাআরসির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct