সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম, আপনজন: গত ২০২২ সালের ২১ শে মার্চ বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার বগটুই গণহত্যার ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে এক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেদিনের ঘটনায় আজও বিমর্ষ স্বজন হারানো পরিবার পরিজন গুলি। বগটুই গণহত্যার আজ ২১ শে মার্চ ছিল দ্বিতীয় বর্ষ। শহীদ পরিবার পরিজনদের সহানুভূতি পেতে গতবছর তৃণমূল এবং বিজেপি বগটুই গ্রামের দুই প্রান্তে দুই দলের উদ্যোগে শহীদ বেদী তৈরি করেন দলীয় ভাবে। সেই শহীদ বেদীতে বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির তরফ থেকে মাল্য দানের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। অনুরূপ অন্যদিকের শহীদ বেদিতে দুপুরে তৃণমূলের তরফ থেকেও মাল্যদানের মাধ্যমে নিহতদের শ্রদ্ধা জাাননো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নীহার মুখার্জি এবং রামপুরহাট শহর তৃণমূল সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। তবে, বগটুই গণহত্যার শিকারদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য,২০২২ সালের ২১ শে মার্চ রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখ কে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরেই ঘটে ভয়ঙ্কর সেই গণহত্যা। যা আজও মানুষের মনে দাগ কেটে রেখেছে।স্বজনহারাদের শোক ধীরে ধীরে কাটিয়ে ঊঠেছে বগটুইবাসী।স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বগটুই। সেই চেনা বগটুই মানুষের যাতায়াত শুরু হয়েছে,স্বাভাবিক ভাবেই খুলছে দোকানপাট।ঘটনার পরেই অর্থাৎ ২৪শে মার্চ তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরজমিনে আসেন বগটুই গ্রামে। সেদিন সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলেন আসল দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। স্বজনহারাদের দেওয়া হবে চাকরি সেই সাথে ক্ষতিপূরণ। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গণহত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রামপুরহাটের প্রাক্তন এক নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।। দোষীদের দেওয়া হয় উপযুক্ত শাস্তি।। ফলে খুশি স্বজনহারা পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা।। ক্ষতিপূরণের টাকায় মেরামত করা হচ্ছে পুড়িয়ে দেওয়া সেই সমস্ত ঘরবাড়ি। বর্তমানে ঘরছাড়া পরিবার গুলি গ্রামে ফিরেছে সকলেই। কোন রকম আপত্তিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামের মধ্যে লাগানো রয়েছে নজরদারি ক্যামেরা।এখনও মোতায়ন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct