আসিফা লস্কর, মগরাহাট, আপনজন: লোকসভা নির্বাচনে কাজ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানালেন মগরাহাট দু নম্বর ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার মগরাহাট দু নম্বর ব্লকের বিডিও তুহিন শুভ্র মহান্তি হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা। ওই কর্মীদের দাবি, প্রতিবার নির্বাচনে তাঁদের নানা কাজে ব্যবহার হয়। অথচ নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকার সময় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়ে মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের মোট ৩০জন কর্ম বিরতির আবেদন জানিয়ে বিডিও অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করে।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে নির্বাচনের কাজে লাগানো যাবে না। তাহলে তাঁদের নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন? যদি তাঁদের নির্বাচনের কাজে যুক্ত করতেই হয়, তার আগে তাঁদের স্থায়ী কর্মীর মর্যাদা দিয়ে পে-স্কেলে আনা হোক। এমনই দাবি করে মগরাহাট-২ ব্লকের বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিলেন মগরাহাট-২ এর এমজিএনআরইজিএস সেলের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। এক কথায়, লোকসভা ভোটের মুখে সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে মগরাহাট-২ ব্লকের বিডিও তুহিন শুভ্র মহান্তি বলেন, “ওঁদের স্মারকলিপি যথাস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নেবে।” মগরাহাট-২ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে একশো দিনের প্রকল্পে অনেকেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকেন। অনেকে ১০ থেকে ১৫ বছরের বেশি কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এচাড়া ছাড়াও ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বহু প্রকল্পের কাজ করেন তাঁরা। গত নির্বাচনগুলিতেও তাঁদের ভোটের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, স্থায়ী কর্মীদের মতো দায়িত্ব পালন করেও তাঁদের স্থায়ী কর্মীর মর্যাদা দেওয়া হয়নি। বারবার দাবি করা সত্বেও তাঁদের দাবিকে অগ্রাহ্য করা বিক্ষোভকারীদের হয়েছে। গোবিন্দ প্রামানিক, কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, “আমরা এমজিএনআরইজিএস সেলের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। অথচ আমাদের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সমস্ত প্রকল্পের কাজ করতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct