আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বহু মানুষ। বুধবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণবাহী বেশ কয়েকটি ট্রাক ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া সেখানে জড়ো হওয়া ২৪ জন প্রাণ হারান। সেখানকার বেশ কিছু স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এর আগেও ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষমান ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই একের পর এক মানবিক সহায়তাবাহী ট্রাক এবং এর চারপাশে জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ইচ্ছাকৃত এবং সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পেও খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। এদিকে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। আহতদের দেইর আল-বালাহ এলাকায় অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গাজায় গত কয়েকদিন ধরে বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বাড়ির মালিকের এক স্বজন বলেন, এটা আমার ভাইয়ের বাড়ি। দুর্ভাগ্যবশত, নারী, শিশু এবং অনেক প্রতিবেশীরা এখানে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তারা সেহরি খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ঠিক সে সময়ই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর আগে অবরুদ্ধ গাজা উপ্যতকা ও মিশরীয় সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সৈন্যরা। এতে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ শহর ও গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রাফাহ শহরে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত হন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct