আনোয়ার আলি, মেমারি, আপনজন: শনিবার লোকসভা ভোটের দামামা বাজার আগেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার প্রস্তুতি শুরু হয়েগিয়েছিল। প্রচারের উত্তাপ ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতেও। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছে ডাঃ শর্মিলা সরকার। রবিবার মেমারি শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী সহ অন্যান্যরা। সভামঞ্চে মাইক হাতে ছিল মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি আশিষ ঘোষ দোস্তিদার, সঙ্গে ছিলেন মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অচিন্ত্য চ্যাটার্জী, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ মিনহাজউদ্দিন, মেমারি শহর জয়হিন্দ বাহিনীর প্রাক্তন সভাপতি অজিত সিং ছাড়াও মেমারি পৌরসভার কয়েজন কাউন্সিলর। আর সেই মঞ্চেই উঠল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করার অভিযোগ। তাল কাটল, একবার, দুবার, তিনবার। প্রথমে মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি আশিষ ঘোষ দোস্তিদার, “বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা, উচ্ছল জলধিতরঙ্গ” লাইন বাদ দিয়ে পরের লাইনে চলে যান। দ্বিতীয় ভুল হয় “জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে” র পরিববর্তে ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ বলেন। ঠিক সেই সময় মেমারি শহর জয়হিন্দ বাহিনীর প্রাক্তন সভাপতি অজিত সিং পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে তৃতীয় ভুল করেন তিনি। “জয় হে, জয় হে, জয় হে,” বলার পর থেমে যান, “জয় জয় জয়, জয় হে” আর উচ্চারিত হল না। তার পর ২০ সেকেন্ডের বিব্রতকর বিরতির পর স্লোগান ওঠে দলীয় স্লোগান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct