আপনজন ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান অভিযানে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এবং সামরিক শাখা উপ প্রধান মারওয়ান ইসা নিহত হয়েছেন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিয়ষক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি হামলায় হামাসের যেসব নেতা নিহত হয়েছেন তার মধ্যে ইসা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি। সোমবার (১৮ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।ইসরায়েলি মিডিয়ার দাবি, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের নিচে একটি টানেল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হয় গত সপ্তাহে। ওই হামলায় নিহত হন মারওয়ান ইসা।হামাসের সামরিক শাখা ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ইসা ছিলেন ইসরায়েলের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। আগে থেকেই এই হামাস নেতাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কালো তালিকাভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।গত ৭ অক্টোবরের হামলার পেছনে তাকে অন্যতম হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। যে হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলির মারা যায়। ওই হামলার জেরেই শুরু হয় এই যুদ্ধ। ইসা প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় পাঁচ বছর ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন।৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসের অনেক সিনিয়র নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর আগে হামাসের রাজনৈতিক নেতা সালিহ আল-আরৌরি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠ দাহিয়েতে বিস্ফোরণে মারা যান। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করা হয়।হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান জানান, হামাসের অন্য নেতারা গাজার হামাসের টানেল নেটওয়ার্কের গভীরে লুকিয়ে রয়েছেন বলে তারা ধারণা করছেন। তিনি জানান, হামাসের শীর্ষ নেতাদের খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং তারাও ন্যায় বিচার পাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct