নিজস্ব প্রতিবেদক, হুগলি, আপনজন: পাঁচ বছরে উনি কি কি করেছেন আমরা জানতে চাই, জনসংযোগে গিয়ে বললেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।চন্দননগর বরাইচন্ডীতলার মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন রচনা। সেখানে ফুল সন্দেশ ও কাপড় দিয়ে পুজো দেন। তার নামে সংকল্প করেই পূজা হয়। হুগলি লোকসভার সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে পুজো দেন তৃণমূল প্রার্থী । পরে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মোল্লা হাজী বাগান মসজিদে গিয়ে চাদর চড়ান। অভিনেত্রীকে একবার দেখতে বহু মানুষ হাজির হয়েছিলেন রাস্তার দু-পাশে। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি ফুলিঙ্গ ক্লাবে গিয়ে জনসংযোগ করেন। সেখানে ছিলেন বিধায়ক অসীমা পাত্র, বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন সহ জেলা নেতৃত্ব। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা বলেন, আমার বিধানসভা এলাকার ছয়টি বিধানসভা এলাকায় ইতিমধ্যেই ঘুরেছি। সেখানে প্রচুর মানুষের সাড়া পেয়েছি। ইন্দ্রনীল সেন মঞ্চ থেকে দাবি করেছেন, তার বিধানসভায় বিধায়ক অফিসকেই এমপি অফিস করা হবে। সেখানেই সম্মতি দিয়েছেন রচনা। হুগলির প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের একাধিক অভিযোগ রয়েছে, বলে দাবি করেন রচনা। সেই কারণে থেকে হুগলি লোকসভা থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করলে প্রতিটা বিধানসভায় সাংসদ অফিস থাকবে বলে জানান তিনি। কোন মানুষ যাতে পরিষেবা থেকে ফিরে না যায় তার দিকে নজর রাখবো। মঙ্গলবার তিনি ফের বলেন, সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করব এই লোকসভা থেকেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সমর্থন উৎসাহ আছে তাতে আমি জয়লাভ করবই। কোন বিধানসভায় যদি খামতি থাকে তাহলে অবশ্যই বসে মেটাবার চেষ্টা করব। তিনি বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেন, হুগলি লোকসভায় কোন কাজ হয়নি। আমি জানতে চাই তিনি পাঁচ বছরে কি কি কাজ করেছেন ? সাধারণ মানুষ জানেনই না ১৭ কোটি টাকা উনি কোথায় খরচ করেছেন। লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন তৃণমূল দলে তিনি জানেন না ।তৃণমূলে কত দুর্নীতি আস্তে আস্তে তিনিও জানতে পারবেন। সেই প্রসঙ্গে রচন বলেন, লকেট বলছেন বলেই তৃণমূল দলে দুর্নীতি এটা আমি মেনে নেব না। আমার দল দুর্নীতিযুক্ত এটা মানতে পারছি না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct