এম মেহেদী সানি, বনগাঁ, আপনজন: লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে সোমবার বনগাঁয় অনুষ্ঠিত হলো কর্মীসভা ৷ এ দিন দলীয় নেতৃত্ব কর্মীদেরকে চাঙ্গা করতে নানান উপদেশের পাশাপাশি, বর্তমান সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নিশানা করে একাধিক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতৃত্বরা ৷ সভামঞ্চ থেকে দেশাত্মবোধক গান গাইতেও দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ন গোস্বামীকে ৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস , বিধায়ক বিনা মন্ডল, বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ, গোবরডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর দত্ত সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা ব্লক আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও কর্মীরা ৷এ দিন পার্থ ভৌমিক কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল লোকসভা নির্বাচনে না হলে দল লোকসভা নির্বাচনের পরে তা পর্যালোচনা করবে বলেও মন্তব্য করেন । তিনি প্রতিটি বাড়িতে চারবার করে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে কর্মীদের কাছে পাশাপাশি দিল্লির জমিদারি মনোভাব এর বিরুদ্ধে বাংলার লড়াইয়ে বনগাঁতেও জমিদার মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল । নারায়ণ গোস্বামী অবশ্য বুথে বুথে কমিটি তৈরি করে সংগঠন মজবুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস এ দিন বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে টার্গেট করে একাধিক অভিযোগ এনেছেন ৷ কেন্দ্রীয় তহবিল আত্মসাৎ, ইছামতী নদী সংস্কারের বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন সান্তনু ঠাকুর এর বিরুদ্ধে ৷ মানুষের প্রতি তৃণমূল প্রার্থীর আরও পরামর্শ, তাঁরা সরাসরি শান্তনু ঠাকুরের কাছ থেকে জানতে চান যে বর্তমান সাংসদ তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা এলাকার উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করেছেন? বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ইছামতী নদী সংস্কারের জন্য শান্তনু ঠাকুর ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য একটি ড্রেজিং মেশিনও পেয়েছিলেন । ১০ দিনের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যায় এবং তাতে ৫০ কোটি টাকাও খরচ হয়নি । বাকি টাকা শান্তনু ঠাকুর নিজেই আত্মসাৎ করেছেন । যদি তিনি ও তাঁর দল, মতুয়া সম্প্রদায়কে এতই ভালোবাসেন, তাহলে মতুয়াদের জন্য একটি স্কুল পর্যন্ত নির্মাণ করলেন না কেন ? আর এখন ওঁরা নির্মমভাবে সিএএ কার্যকর করছেন।’’ এ বিষয়ে অবশ্য সাংসদ সান্তনু ঠাকুরের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি ৷বিশ্বজিৎ আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার কেবলমাত্র জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে ।’ মানুষের উদ্দেশ বিশ্বজিৎ-এর বার্তা, আমি সর্বদা সততার সঙ্গে এবং একাগ্র চিত্তে নিজের কাজ করেছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct