আপনজন ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সোমবার গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্র সচিবদের অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। মিজোরাম ও হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারিকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপিকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কারণ এই অফিসারকে এর আগেও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজীব কুমারকে নির্বাচন বহির্ভূত পদে নিয়োগ করতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে তাঁর তৎক্ষণাৎ জুনিয়র অফিসারকে ডিজিপি পদে নিয়োগ করতে বলেছে। রাজ্যকে বিকেল ৫টার মধ্যে তিন কর্মকর্তার একটি প্যানেল পাঠাতে বলা হয়েছে, যাদের ডিজিপি পদে নিয়োগ করা হবে। সেইমতোই রাজ্যের তরফে বিবেক সহায়ের সঙ্গেই সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও রণবীর কুমারের নাম প্রস্তাব করা হয় বলে সূত্রের খবর ৷ এর মধ্যে থেকে বিবেক সহায়কে বেছে নিতে কমিশন বিশেষ কালবিলম্ব করেনি ৷ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সোমবার বিবেক সহায়কে রাজ্যের নতুন ডিজিপি হিসাবে নিয়োগ করেছে।রাজীব কুমারকে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নিয়োগ করা হয়। ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সহায় ডিরেক্টর জেনারেল এবং কমান্ড্যান্ট জেনারেল (হোম গার্ডস) ছিলেন।সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বরে রাজ্যের ডিজিপি পদে নিয়োগ পাওয়া রাজীব কুমারকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়অ হয়েছে ৷ ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে (এডিজি সিকিউরিটি) ছিলেন বিবেক সহায় ৷কমিশন সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও রাজীব কুমারকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct