নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর, আপনজন: “অনেক হয়েছে। এদের দয়া এবং দাক্ষিণ্যে আর বাঁচব না। এঁদের কাছে আর কিছু চাইবেন না। এঁদের কাছে মাথা নীচু করে বেঁচে থাকবেন না। প্রতি বছর ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে বাংলার মহিলাদের জন্য। এর ১০ পয়সা মোদী সরকারের নয়। তাই ১০০ দিনের কাজও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে পারবেন। তাই বাংলাকে জেতান। মেদিনীপুরে জুন মালিয়াকে জয়ী করুন। আবাসের জন্য কারও উপর নির্ভর করতে হবে না। আমরা করব।’’ শনিবার বিকেলে বেলদা স্টেডিয়ামে মেদিনীপুরের প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে বলেন অভিষেক। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি, দাঁতন, নারায়ণগড়, মেদিনীপুর, খড়্গপুর সদর, খড়্গপুর গ্রামীণ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা। ওই লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে সাংসদ হন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। এ বার সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিধায়ক জুন মালিয়াকে। কিন্তু এদিন অভিষেক মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, ‘শপথ নিন, মর্নিং ওয়াক করা দাদা পার্কে থাক, বাংলার মেয়ে দিল্লি যাক।’ বেলদা স্টেডিয়ামের সভা থেকে এদিন নিশানা বানিয়েছেন বিজেপিকে। কেন্দ্রের সরকারকে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেছেন, ‘মায়েরা যাঁরা বাড়ির কাজকর্ম ছেড়ে আমাদের সভায় এসেছেন, তাঁদের প্রণাম। মাতৃশক্তি না-জাগলে এ পৃথিবী জাগে না। নবজোয়ারের সময় আমি যখন অবিভিক্ত মেদিনীপুরে এসেছিলাম, প্রত্যেক বিধানসভায় পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। বলেছিলাম, নারায়ণগড় দিয়ে প্রচার শুরু করব। শুরু করলাম। আমি আগে থেকে জানতাম না যে, আজই নির্বাচন ঘোষণা হবে। কী করে জানব, যে দিন নির্ঘণ্ট প্রকাশ হবে, সে দিনই আন্দোলনের পীঠস্থান মেদিনীপুরে থাকব! এটা সৌভাগ্যের। নির্বাচনের জনগর্জন প্রমাণ করবে মেদিনীপুরের মানুষ। বাংলা মাথা ঝোঁকাবে না। আজকের এই সভা সেটাই প্রমাণ করছে। ২০১১ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার তৈরি হয়েছে। তার আগে মেদিনীপুরের মানুষ সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আত্মবলিদান দিয়েছেন।’ এদিন জায়ান্ট স্ক্রিনে পাঁচ মিনিটের ভিডিয়ো চালিয়ে মোদীকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘এদের বলার ক্ষমতা নেই। খালি মিথ্যে কথা বলবে। ২০১৮ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী সভা করতে এসে মেদিনীপুরে কত মিথ্যা কথা বলেছেন!’’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct