আপনজন ডেস্ক: দেশজুড়ে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হবে ২০১৯ সালের মতোই সাত দফায়। নির্বাচন শুরু হবে আগামী ১৯ এপ্রিল এবং শেষ হবে ১ জুন। ভারতে মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনে এ নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হবে চার রাজ্যে। একই সঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে ১৩টি রাজ্যে। ভোট গণনা ও ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন।শনিবার দুপুরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, শনিবার থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গেল। ভোটারদের আস্থা অর্জনে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, পুলিশ কমিশনার এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন কেন্দ্রে এবং অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনী আগে থেকেই মোতায়েন করা হবে।প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেবেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে রেকর্ড। এই ভোটারদের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। মোট সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ভোটিং মেশিনের সাহায্যে এই ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।রাজীব কুমার বলেন, আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে এ নিয়ে সাপ্তাহিক বৈঠক করবে কমিশন। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হবে এবং নির্বাচন চলাকালে বা তারপর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন রাজ্যে কত দফায়
ভোটের তফসিল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, মাত্র তিনটি রাজ্যে সব কটি দফায় অর্থাৎ সাত দফায় ভোট হবে। এই তিন রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশ। উত্তর প্রদেশের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৮০ আসন রয়েছে।ভারতের দুটি রাজ্য মহারাষ্ট্র ও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হবে পাঁচ দফায় এবং তিন রাজ্য ওডিশা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ডে ভোট হবে চার দফায়। ২২ রাজ্যে ভোট হবে এক দফায়, দুই রাজ্যে তিন দফায় এবং চার রাজ্যে দুই দফায়।পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম ও ওডিশায়। এ ছাড়া ১৩ রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কোনো বিধায়ক দল ছেড়ে যাওয়ায় বা কারও মৃত্যু হওয়ায় এসব আসন খালি হয়। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং সপ্তম দফায় উপনির্বাচন হবে কলকাতার বরাহনগরে। যেহেতু এর আগের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে ১৭ জুন, তাই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ১৬ জুনের মধ্যে।নির্দেশিকা জারির পর থেকে লাগু হয়ে গেল নির্বাচনী আচরণ বিধি (এমসিসি)। প্রার্থী, রাজনৈতিক দলগুলিকে মানতে হবে বিধি। ফলঘোষণা পর্যন্ত এই বিধি জারি থাকবে। এই বিধি না মানলে পদক্ষেপ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনী আচরণ বিধি জারির পর থেকে সরকারও কোনও জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে না। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারে না। প্রশাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না। যেমন সড়ক নির্মাণ, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না ভোটঘোষণার পর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct