আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদিয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বাঁশের রেল গেট তৈরি করে নিজেরাই পাহারা দেয় স্থানীয়রা।ভোট এলে প্রতিশ্রুতি মিললেও দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে নিজেদের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে বাসের রেল গেট তৈরি করে নিজেরাই পাহারা দেয়। একাধিকবার বলেও তৈরি হয়নি রেল গেট। ফলস্বরূপ ঘটেছে অনেক দুর্ঘটনা। কৃষ্ণগঞ্জ থানার তারকনগর হল্ট স্টেশনের ঢিলচড়া দূরত্বে রয়েছে বাসের রেলগেট। এই রেল লাইন দিয়ে প্রায় দিনে কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হয়।শুধু তাই নয়, একাধিক স্কুলের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীরা এই রেললাইন দিয়েই পারাপার হয়।সেখানে কোন রেলগেট না থাকার কারণে এর আগে ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনা। রেল দপ্তরকে একাধিক বার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে ৫০ বছর ধরে নিজেরাই একটি বাসের রেলগেট তৈরি করেছে। রেল আসার সময় হলে ওই বাস নামিয়ে দেওয়া হয়। আর এই কাজের জন্য স্থানীয়রা কয়েকজনকে রেখেছে এবং তাদের নিজেরাই টাকা তুলে মাইনে দেন। ভোট এলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আসেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যেভাবেই হোক তারা রেল দপ্তরকে জানিয়ে রেল দপ্তরের অধীনে একটি রেলগেট তৈরি করবেন।এভাবেই বহু ভোট এসেছে আর গিয়েছে কিন্তু রেলগেট আর তৈরি হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় মন্ডল বলেন, বহুদিন ধরে রেলগেট হয়নি। আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাঁশের গেট জীবন যাপন করছি রের স্টেশনে ৩০% টিকিট বিক্রয় হয় সেখানে রেল পক্ষ থেকে গেটের ব্যবস্থা করা হয় কিন্তু আমাদের এখানে ৫০% এর ওপরে টিকিট বিক্রি হয় তাহলে কেন গেট হবে না। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সবাই এই রেল লাইন পারাপার হয়। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড়সড়ো দুর্ঘটনা তাই নিজেরাই বাঁশ দিয়ে যখন ট্রেন আসে তখন সেটা নামিয়ে রাখা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী পরিমল বালা দাবি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দেখছি অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে বাজারের যুবকদের উদ্যোগে গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে চারজন প্রহরীকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই রেল গেট দিয়ে তিনটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী পারাপার হয় যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা সেই কারণে বাঁশ দিয়ে রেলগেট করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct