আপনজন ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি শুক্রবার অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজি চক্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “মস্তিষ্কপ্রসূত”।‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র শেষ পর্যায়ে থাকা রাহুল গান্ধি আরও দাবি করেছেন যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত তহবিল শিবসেনা ও এনসিপির মতো দলগুলিকে বিভক্ত করতে এবং সরকারকে ফেলে দিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক অর্থ ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করার জন্য তিনি নির্বাচনী বন্ড (স্কিম) তৈরি করেছেন। দেখা যাচ্ছে যে ভারতের বৃহত্তম কর্পোরেটদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের এটাই উপায় ছিল। কর্পোরেটদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে টাকা দেওয়াই ছিল এর উদ্দেশ্য। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ চক্র। আশা করছি তদন্ত হবে। কিছু কোম্পানি কংগ্রেসকে নির্বাচনী বন্ড দান করছে এবং কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্যগুলিতে ঠিকাদারি পাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, বিরোধী দলগুলি দ্বারা পরিচালিত সরকারগুলির কেউই জাতীয় স্তরে হাইওয়ে এবং প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো চুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে না, বা তারা আয়কর ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে না বা জনগণের ফোনে ‘পেগাসাস’ (নজরদারি সফ্টওয়্যার) রাখে না।রাহুল গান্ধি বলেন, কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্যগুলিতে দেওয়া চুক্তি এবং আমাদের দেওয়া তহবিলের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। এটি কর্পোরেট ইন্ডিয়ার কাছ থেকে একটি অপরাধমূলক চাঁদাবাজি, এবং প্রতিটি একক কর্পোরেট এটি জানে। বরাত পাওয়ার কয়েক মাস পর ইলেক্টোরাল বন্ড বিজেপিকে দান করেছে সংস্থাগুলি। সিবিআই, ইডি মামলা করে, তারপর কর্পোরেট সংস্থাগুলি বিজেপিকে টাকা দেয়। কর্পোরেট সংস্থাগুলি বেনামে অর্থ দান করতে পারবে বলেও জানান রাহুল।কংগ্রেস নেতার দাবি, কিছু কোম্পানি আগে বিজেপিকে টাকা দেয়নি, কিন্তু সিবিআইয়ের পর ইডি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর তারা টাকা দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct