নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে শাসক দলের জেলা পরিষদ সদস্যের অর্থানুকূল্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা ডেলি মার্কেটে তৈরি হয়েছিল সর্বসাধারণের জন্য শৌচাগার এবং তার সঙ্গে জলের ব্যবস্থা। জেলা পরিষদের ফিফটিন ফিন্যান্স এর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই শৌচাগার এবং জলের ব্যবস্থা নির্মাণ করা হলেও ওই ডেলি মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্মাণ কাজের পাঁচ বছর কেটে গেলেও আজও পর্যন্ত এই শৌচাগার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হল না। প্রথম থেকেই তালা বন্ধ অবস্থায় রেখে দেওয়া হল এই শৌচাগারটিকে।এমনকি এই শৌচাগারের সঙ্গে থাকা জলের ব্যবস্থা ব্যবহার করতে না পেরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দূর থেকেই জল নিয়ে আসেন। এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ কি কারনে এই শৌচাগার নির্মাণ করার পরও তালা বন্ধ অবস্থায় রেখে দেওয়া হল দীর্ঘদিন ধরে তার কোন জবাব স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা দিতে পারেননি। বর্তমানে এই শৌচাগারটি মার্কেট কমিটির অন্তর্গত থাকলেও তারাও এই ব্যাপারে কোন উত্তর দিচ্ছে না।এদিকে নির্মাণ হয়ে পড়ে থাকা আর শৌচাগারটি ব্যবহার করতে না পেরে চরম সমস্যায় পড়েছে এলাকার ব্যবসায়ী এবং মার্কেটে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা।ব্যবসায়ী মহম্মদ হারেজ,সেখ বিশুয়া ও সেখ হাসিমুদ্দিনরা বলেন ‘শৌচাগারটি তৈরি হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যও খোলা হয়নি।তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ডেইলি মার্কেটে প্রায় দুই শতাধিক দোকান বসে।মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার লোক বাজার করতে আসে।এখানে কোনো শৌচাগার না থাকার কারণে ফুটপাতের ধারে প্রসাব করতে হয়।কখনো কখনো স্থানীয় লোকেদের কাছ থেকে নোংরা ভাষাও শুনতে হয়।অপরদিকে মার্কেটে কোন সরকারি নলকূপ না থাকার কারণে টেপের জলের উপর নির্ভর করতে হয় সকল ব্যবসায়ীকে।বিগত জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরীর বক্তব্য যখন ওই শৌচাগারটি নির্মাণ করা সম্পন্ন হয় কন্ট্রাক্টর সংশ্লিষ্ট মার্কেট কমিটির হাতে ওই শৌচাগারের চাবি তুলে দেয়।কিন্তু তারপরও কেন এই শৌচাগার ব্যবহার হলো না সেটা বলতে পারছি না।বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্যা মার্জিনা খাতুন জানান,এরকম তো হওয়ার কথা নয়।বিষয়টি জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct