নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম, আপনজন: একুশের বিধানসভা ভোটে,নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান অথচ সেই সুফিয়ানের গলাতেই ভিন্ন সুর দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর! যার জেরে প্রশ্ন উঠতে লাগল পূর্ব মেদিনীপুরে জোরাল হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল? সুফিয়ান কি? ফুল বদল করতে চলছে!এমন গুঞ্জন পূর্ব মেদিনীপুরে রাজনৈতিক মহলে।সোসাল মিডিয়ায় দেখা যায় বড় ভাঙান হতে চলছে ঘাসফুল শিবিরে এমন সব পোস্ট। যার ফলে ঘুম ছুটছে আইপ্যাক শীবিরে।সোমবারই প্রথম নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র তমলুকে কেন্দ্রে আসে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।তাঁকে স্বাগত জানতে অনুগামীদের নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান।কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা না করেই বেরিয়ে যান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তারপরই চটে লাল সুফিয়ান।দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি।নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অন্তর্কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।ফলে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ৫০০ টি সংখ্যা লঘু পরিবার। দলবদলকারীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যও। আর এই ইস্যুতেই শেখ সুফিয়ান দাবি করেন,পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন,তাঁরা অনেককেই মর্যাদা দেয়নি দল, তার জন্য অনেকেই বিজেপিতে চলে গেছেন।
এরপরে একদিন কাটতে না কাটতেই তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য আসেন সুফিয়ানের এলাকায়। স্বাগত জানতে অনুগামীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান।কিন্তু কোথায় দেবাংশু? দেখা না করেই বেরিয়ে যান তৃণমূলের তমলুকের প্রার্থী। এতেই চটে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা।শেখ সুফিয়ান ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর তাঁর অনুগামীরাও রেগে যান।দেবাংশু ভট্টাচার্য আসার আগে,তাঁর নামে দেওয়াল লিখন চলছিল।সেই লেখা বন্ধ করে রং,তুলি ছুড়ে ফেলে দেন সুফিয়ান অনুগামীরা।রেগে গিয়ে সুফিয়ান বলেন, ‘নন্দীগ্রামে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে আমাদের ঐক্য হচ্ছে না!তাঁরা পরিকল্পিত ভাবে বিজেপির হাতে ক্ষমতাটা তুলে দিতে চাইছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct