নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: মঙ্গলবার কালীঘাট অভিযান করলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বিক্ষোভকারী উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা জানান, ৬ মার্চ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান চাকরি প্রার্থীদের সাথে বৈঠক করে কবে নিয়োগ হবে সেই উত্তর দিতে পারেননি। বলেছেন উনি নতুন সকলের সাথে আলোচনা করে জানাবেন। ৫ দিন অপেক্ষা করার পর কিছু না জানতে পেরে চাকরি প্রার্থী আবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে মঙ্গলবার কালীঘাট অভিযানের যাক দেওয়া হয়। যতীন দাস পার্ক ৪নং গেট থেকে বের হতেই কয়েক শ পুলিশ ঘিরে ধরে চাকরি প্রার্থীদের। হাজরা মোড়ে শুয়ে পড়ে চাকরি প্রার্থীরা ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সাথে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চ’র সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, কালীঘাট থানার বড় বাবু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, নবান্নের আধিকারিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকগণের সাথে ১৫ই মার্চ শুক্রবার সকাল ১১:৩০ টায় চাকরি প্রার্থীদের সাথে বৈঠকে বসবেন বলে সময় দিয়েছেন। মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এর পূর্বে অসংখ্য বৈঠক হয়েছে। যখনই নিয়োগ নিয়ে কেউ উদ্যোগী হয় তখনই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।আমরা আর কোন অজুহাত শুনতে চাইনা না। পূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকগণের সাথে জট কাটানোর বারংবার বৈঠক হলেও, সর্বমোট ৫ খানা নিয়োগের নির্দেশ হয়েছে তবুও এখনো কোন সুরাহা হয়নি উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের। চাকরি প্রার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন শুক্রবার সমস্যার সমাধান না হলে সেই দিনই অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন।
তাদের আরও অভিযোগ, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ছিল ৩১৮৩। কিন্তু প্যানেল ছাড়ায় নিয়োগ হয় মাত্র ১৫০০-র মতো । সেখানেও প্রচুর দূর্নীতি হয়েছে। ২০১০ সালের গেজেটের কোন নিয়ম মানা হয়নি। কি নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেটার কোন সদউত্তর নেই কমিশনের আধিকারিকগণের কাছে। মাদ্রাসা গুলো শিক্ষক না পেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয় মহামান্য হাইকোর্ট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের থেকে নিয়োগের নির্দেশ দেন কিন্তু সেই নির্দেশকে কর্যকরি না করে নিয়োগ আটকাতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমেটির কর্মক্ষমতা রোধ করে দেয় শিক্ষক চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct