আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের হাপুর আদালত ২০১৮ সালের মব লিঞ্চিং মামলায় ১০ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এ ছাড়া তাদের ৫৯ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। ২০১৮ সালে জেলার হোল মাদাপুর এবং বুঝেদা কালান বন গ্রামে গরু জবাইয়ের মিথ্যা গুজবে ৪৫ বছর বয়সি কাসিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু কিছুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। এই ঘটনার ভিডিওও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ক্ষেত্রে, সুপ্রিম কোর্টও পুলিশের তদন্তে হস্তক্ষেপ করে এবং ডিআইজি মিরাটকে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার পরে, পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ১৪৯ (বেআইনি জমায়েত), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ১৪৯, ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হওয়া) এবং ১৫৩এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মঙ্গলবার এই মামলায় ১০ অভিযুক্তকে হাপুর আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা জজ শ্বেতা দীক্ষিত এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাকেশ, হরিওম, যুধিষ্ঠির, রিঙ্কু, করণপাল, মণীশ, ললিত, সোনু, কাপ্তান ও মঙ্গেরাম। কাসিমের পরিবারের লোকজন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চাননি। তাার আদালতে বলেছেন, তাদের সাথে তাদের কোনও শত্রুতা নেই এবং কেবল ন্যায়বিচার চেয়েছেন। ২০১৮ সালে এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত রাকেশ সিসোদিয়া জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর দাবি করেছেন যে পুলিশ তার পক্ষে রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন জানান, তার ভাই সামিউদ্দিন ও কাসিম সাকনা সাদ্দাকপুরা কোনো কাজে বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে ঢোলনা যাচ্ছিলেন। বাঘিরার কাছে অন্য বাইকারের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। সেই বাইক চালক লোকজন ডেকে গরু জবাইয়ের অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করে কাসিমকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct