আপনজন ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলায় উৎসাহিত করতে ‘টেস্ট ক্রিকেট প্রণোদনা স্কিম’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ভারত ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। এই স্কিমের আওতায় বছরে ৭ টেস্ট খেললেই একজন ক্রিকেটার ৩ কোটি ১৫ লাখ রুপি বোনাস পাবেন। এর সঙ্গে প্রতিটি টেস্টের জন্য নির্ধারিত ১৫ লাখ রুপি করেও পাওয়া যাবে। আজ বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এক টুইট বার্তায় প্রণোদনার ঘোষণা দেন। ভারতের তরুণ ক্রিকেটাররা আইপিএলকে কেন্দ্র করে টি–টোয়েন্টিতে যতটা মনোযোগী, টেস্ট খেলতে তা একদমই নন—সাম্প্রতিক সময়ে এমন আলোচনা চলছে ভারতীয় ক্রিকেটে। ঈশান কিষান, শ্রেয়াস আইয়াররা বোর্ডের নির্দেশনার পরও প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে না খেলায় আলোচনাটি নতুন গতি পায়। উঠে আসে টেস্ট এবং টি–টোয়েন্টি খেলার আর্থিক সুবিধার পার্থক্যও। জয় শাহ প্রণোদনা ঘোষণার টুইট বার্তায় লিখেছেন, ক্রিকেটারদের আর্থিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা প্রদানের লক্ষ্যে পুরুষ সিনিয়র ক্রিকেট দলের জন্য প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।ভারতীয় দল বছরে ৯টি টেস্ট খেলবে ধরে নিয়ে প্রণোদনায় তিনটি স্কিম রাখা হয়েছে। প্রথম স্কিমে আছে ৪ ম্যাচের কম বা ৫০ শতাংশের কম ম্যাচে অংশগ্রহণ। এর জন্য কোনো টাকা দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় স্কিমে আছে ৫০ শতাংশের বেশি বা ৫–৬টি ম্যাচ খেলা। কোনো ক্রিকেটার বছরে এই সংখ্যক ম্যাচ খেললে পাবেন টেস্টপ্রতি ৩০ লাখ রুপি করে। স্কোয়াডে আছেন কিন্তু একাদশে নেই, এমন খেলোয়াড়েরা পাবেন ১৫ লাখ রুপি করে।তৃতীয় ও সর্বোচ্চ স্কিমটি ৭৫ শতাংশের বেশি বা ৭–এর বেশি টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের জন্য। এই ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা প্রতি টেস্টের জন্য পাবেন ৪৫ লাখ রুপি করে। একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা সাড়ে ২২ লাখ রুপি করে। অর্থাৎ, একজন ক্রিকেটার যদি বছরজুড়ে ভারতের খেলা ৯ টেস্টের সব কটিতে খেলেন, বোনাস হিসেবে পাবেন ৪ কোটি ৫ লাখ রুপি। এর সঙ্গে ম্যাচ ফি হিসেবে ১ কোটি ৩৫ লাখ রুপি তো আছেই।প্রণোদনা স্কিম কার্যকর হবে ২০২২–২৩ মৌসুম থেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct