নিজস্ব প্রতিবেদক, নেতড়া, আপনজন: বাংলার রেনেসাঁ পত্রিকা ও লাব্বাইক মিশনের ২৬ তম সাহিত্য ও পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হল রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নেতড়াতে। অংশ নেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাহিত্য ও শিক্ষা প্রেমীজনতা। বার্ষিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।এদিন বাংলার রেনেসাঁ পুরস্কার প্রদান করা হয় ইতিহাসবেত্তা খাজিম আহমেদকে। তাকে স্মারক ও মানপত্র প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন গুণী মানুষকে সমাজ ভাবনায় তাদের স্ব-স্ব অবদানের জন্য মানপত্র প্রদানের মধ্যে দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। খাজিম আহমেদ সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের গবেষক সা’দুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাংলার বাঙালি মুসলমানদের তথ্য সমৃদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে খাজিম আহমেদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইতিহাস গবেষক খাজিম আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালি হিন্দুর থেকে মুসলিমরা অগ্রসর কম ছিলেন। সেই পিছিয়ে পড়া দের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলম ধরি। তাই বলে ভাগাভাগি, ভাঙাভাঙ্গিতে নয়, অসাম্প্রদায়িক ভাবনা নিয়ে সবাইকে ভাই হিসাবে চলতে চাই।ঔপন্যাসিক মুসা আলি বলেন, ওপার বাংলার ১৮ কোটির ১ কোটি হিন্দু সমাজের মানুষ, তারা বঞ্চনার শিকার নয়, অথচ এপার বাংলার সংখ্যালঘুরা চিরকাল উপেক্ষিত। শিশু সাহিত্যিক আব্দুল করিম বলেন, নতুন পৃথিবীতে আলোকে উদ্ভাসিত করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।কবি কৃষ্ণকলি বেরা বলেন, সকল মানুষের সেবায় আজিজুল হকের আগ্রহ তাকে স্মরণীয় করে রাখবে। বিশিষ্ট সমাজসেবী হাজি রমজান আলি বলেন, আজিজুল হক সকল মানুষকে আপন করে নিতে ভালোবাসেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বাংলার রেনেসাঁ ও লাব্বাইক মিশনের সম্পাদক আজিজুল হক। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহু গ্রন্থ শিক্ষাবিদ এম তাহেরুল হক, সমাজসেবী মহতারামা অজিফা খাতুন, অধ্যাপিকা সালেহা বেগম, শিক্ষারত্ন নুরনবী জমাদার, সমাজসেবী শাজাহান লস্কর, ইন্সুর আলি, আব্দুল আলিম মোল্লা, মনিরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর দেওয়ান প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct