নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর, আপনজন: দিদি নম্বর ওয়ান নয়, দিদি বিশ্বের-দেশের-রাজ্যের। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ১২৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ১৩৮টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার আর্থিক মূল্য ১৭১৯ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৮২ উপভোক্তাকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদান করে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল পুরো শহর। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নৃত্যে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। গান গাইতে বলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে। তার আগেই ইন্দ্রনীল বলেন, সেদিন তোমরা দিদি নম্বর ওয়ান দেখেছ। এই যে দিদি নম্বর ওয়ান। তবে তার বিশেষণে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, আমি সবার দিদি। বাচ্চা থেকে বড়, ভাই থেকে বোন সবার দিদি। সুতরাং আমি দিদি নম্বর ওয়ান নয়। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিদি নম্বর ওয়ান বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বিশ্বের দিদি, আমি রাজ্যের দিদি, আমি দেশের দিদি, আমি ঘরে ঘরে সবার দিদি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার পাশাপাশি আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকাও কেন্দ্র দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি টাকাটা না দেয় তাহলে মে মাসের প্রথম দিকে ১১ লক্ষ বাড়ির কাজ আমরাই শুরু করে দেব। তারপর যেগুলো বাকি থাকবে আস্তে আস্তে করবো। দিল্লির কাছে ভিক্ষে চাইব না। আমরা লক্ষীভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি।যতোদিন বাঁচবেন ততদিন সেই টাকা পাবেন। এটা আমাদের গ্যারান্টি। মনে রাখবেন রাজ্যে আমরা যে গ্যারেন্টি দিই তা রক্ষা করি, কেন্দ্র যে গ্যারেন্টি দেয় তা বাতিলের খাতায় যায়। এদিন উপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়করা। তাদের লোকসভা নির্বাচনে একত্রিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে কলকাতা রওনা দেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct