আপনজন ডেস্ক: নিউজিল্যান্ড ফাস্ট বোলার নিল ওয়াগনারকে অবসর নিতে বাধ্য করানো হয়েছে বলে মনে করেন রস টেলর। সুযোগ থাকার পরও দ্বিতীয় টেস্টের দলে ওয়াগনারকে না নেওয়াতে বিস্ময় প্রকাশও করেন সাবেক এ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে তাঁকে দলে নেওয়া হবে না, এমন জানার পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ওয়াগনার। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে প্রথম টেস্টে দলের সঙ্গে থাকলেও আগামী ৮ মার্চ থেকে ক্রাইস্টচার্চে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকবেন না তিনি।এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে উইকেট নেওয়ার পর কাউকে উদ্দেশ্য করে ‘চুপ করার’ ইঙ্গিত করেছিলেন ওয়াগনার। একটি উইকেটের পর দলের উদ্যাপনে কাউকে মাঝের আঙুলও দেখিয়েছিলেন। ওয়াগনারের এমন অবসর নেওয়ার সঙ্গে সেগুলোর সম্পর্ক আছে কি না, ইএসপিএনের অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট নামের এক পডকাস্টে টেলরকে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল।জবাবে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১১২টি টেস্ট খেলা টেলর বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এখন এগুলো একটু বোঝা যাচ্ছে। লুকিয়ে লাভ নেই, আমার মনে হয় এটা বাধ্যতামূলক অবসর। যদি ওয়াগনারের সংবাদ সম্মেলনের কথা শোনেন—সে অবসর নিচ্ছে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পরই। মানে সে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিল।’এর মাঝে পেসার উইল ও’রুর্ক চোটে পড়ায় ওয়াগনারের ফেরার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, যদিও নিউজিল্যান্ড দলে ডেকেছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বেন সিয়ার্সকে। সেটি নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন টেলর, ‘তাকে দলে না নেওয়া আমি জানি আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা লাগবে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন বাঁচা-মরার একটি টেস্টে আমি নিল ওয়াগনারের বাইরে খুব বেশি কিছু ভাবতাম না। আমি নিশ্চিত সে দলে নেই বলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে।’
এর আগে অস্ট্রেলিয়ানদের বেশ ঝামেলায় ফেলার রেকর্ড আছে ওয়াগনারের। স্টিভেন স্মিথকেই এক সিরিজে চার বার শর্ট বলে আউট করেছিলেন তিনি। ওয়াগনার থাকলে অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে রেকর্ড দশম উইকেট জুটি গড়তে পারত না বলেও মনে করেন ইএসপিএনের ওই পডকাস্টে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে ক্যামেরন গ্রিন শেষ উইকেটে যোগ করেন ১১৬ রান, প্রথম দিন শেষে বেশ চাপে থাকলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে এরপর প্রথম টেস্ট অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৭২ রানে। ফিঞ্চ বলেন, ‘নিল ওয়াগনার একাদশে নেই, আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। আমি ভেবেছিলাম হালকা চোটের সমস্যা আছে বলে সে নেই। সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে সাফল্য পেয়েছে, বিশেষ করে স্টিভেন স্মিথের বিপক্ষে—আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন ওয়াগনার থাকলে শেষ উইকেটের ওই জুটি হতো না। কারণ, সে অন্তত জশ হ্যাজলউডকে ভয় দেখাতে পারত। ক্যামেরন গ্রিনকেও হয়তো রান করা থেকে আটকাত। আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে সিদ্ধান্তটা।’ফিঞ্চের সঙ্গে একমত হয়েছেন টেলরও, ‘শুধু যে তার অভিজ্ঞতা আছে বা যেভাবে বোলিং করে, তা নয়। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও বলেছে, তাদের তাকে (ওয়াগনার) নিয়ে পরিকল্পনা ছিল। অভিজ্ঞতার ভূমিকা অনেক। কিন্তু আমি ফিঞ্চির সঙ্গে একমত। সে যদি রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে হ্যাজলউডকে বোলিং করত, সে হয়তো দুই একটা চার বা ছক্কাও দিতে পারত। কিন্তু আমার মনে হয় লম্বা সময় ধরে সে আক্রমণ করে যেত, ফলে তারা ১০০ রানের জুটি পেত না।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct