আপনজন ডেস্ক: আসন্ন রমজান মাস শুরুর আগে গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ একাধিক বিশ্ব নেতা। এ বিষয়ে রোববার থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্তত্বতায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়। তবে দুইদিন ধরে বৈঠক হলেও, কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। এতে কোনো ফলাফল ছাড়াই এ দফার যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাসিম জানিয়েছেন, আলোচনা চলার সময় তারা তাদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় না। আর ইসরায়েলকে চুক্তিতে সম্মত হতে চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বল এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে।’ এদিকে কায়রোর এই আলোচনা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল কায়রোতে তাদের কোনো প্রতিনিধিকে পাঠায়নি। তারা দাবি করেছিল, যেসব জীবিত এবং মৃত জিম্মি এখনো গাজায় আছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। এরপর তারা আালোচনায় যোগ দেবে। প্রথমে অন্তত ৪০ অসুস্থ, বৃদ্ধ ও নারীর তালিকা দিতে হবে যাদের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাস জানিয়েছে, তাদের পক্ষে এখন তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ইসরায়েলিদের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে অনেক জিম্মি নিহত হয়েছেন। ফলে কারা জীবিত আছেন আর কারা মারা গেছেন সেই তালিকা প্রস্তুতে আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এরপর তারা জিম্মিদের তালিকা দিতে পারবে। ইসরায়েলের প্রতি পাল্টা দাবি ছুড়ে হামাস জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্ত করতে আগে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। যেটি হবে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। এছাড়া হামাস দাবি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছতে দিতে হবে এবং যেসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাদের বাড়িতে ফিরতে দিতে হবে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, হামাসের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবির কারণে এখন চুক্তিটি হচ্ছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct