আপনজন ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যার রায় রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে রায় রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল, তিনি মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে আসতে চান কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সমস্ত অনুসন্ধানের জবাব দেবেন।রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিচারপতির পদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন, যার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে।উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন রাজ্যের সরকারি পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি তাঁর দ্রুত নির্দেশের জন্য পরিচিত, সমাজের বিভিন্ন অংশের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশেষত স্কুল চাকরির জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা। তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে তার মন্তব্যে রাজ্যের শাসক দলের একাংশ নেতার মধ্যে অসন্তোষও ছড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সংরক্ষিত শ্রেণির এমবিবিএস আসনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই তদন্ত শুরু করা নিয়ে তার একক বেঞ্চ এবং হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের মধ্যে দ্বন্দ্বের পরে, সুপ্রিম কোর্ট জানুয়ারিতে হস্তক্ষেপ করেছিল এবং এই সম্পর্কিত সমস্ত আবেদন নিজের কাছে স্থানান্তরিত করেছিল।রবিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগামীকাল (সোমবার) বিচারপতি হিসেবে আমার শেষ দিন। আমি কোনও বিষয় শুনব না বা বিচার করব না এবং আমার আদালতে আংশিক শুনানি হয়েছে এমন কিছু মামলা ছেড়ে দেব।ব্যক্তিগত কারণে গত এক সপ্তাহ ছুটিতে থাকা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর মুহূর্ত থেকেই তা কার্যকর হবে।মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় স্বাধীনতা সংগ্রামী মাস্টারদা সূর্য সেনের মূর্তির সামনে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৮ সালের ২ মে কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। হাইকোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩০ জুলাই তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct