নুরুল ইসলাম খান, ফুরফুরা, আপনজন: হুগলি ফুরফুরা শরীফের ৩ দিন ব্যপি ঐতিহাসিক ঈসালে সওয়াব শুরু হবে ৫ মার্চ মঙ্গলবার। শেষ হবে ৮ মার্চ সকলে। দরবার শরীফের তরফে জানা গেছে।প্রসানের পক্ষে বলা হয়েছে গত বছরে ৪০ লক্ষ মানুষের ভিড়ের নজির কে ছাপিয়ে যাবে চলতি বছরের এই সভা। এশিয়ার বিখ্যাত এই পবিত্র ধর্মীয় মাহফিলে উপস্থিত হবেন বাংলাদেশ, অসম ও ত্রিপুরা-সহ উপমহাদেশের অসংখ্য মানুষ।এই তিন দিনে অজস্র ধর্মপ্রান মানুষরা আসবেন নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য।মোজাদ্দেদে যামান উলিল আমর আমিরুষ শরিয়ত ফুরফুরা শরীফের পীর আল্লামা শাহ আবু বকর সিদ্দিকী ওরফে দাদা হুজুর রহ, নিজে এই ঐতিহাসিক মাহফিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৮৯১সালে। সেই সময় মাত্র আড়াইসের বাতাসা দিয়ে সভার সূচনা করেছিলেন। তারপর সবটাই এখন ইতিহাস, ঠাঁই পেয়েছে আন্তজার্তিক স্তরে। পির সাহেবদের কাছে আশির্বাদ নিতে আসেন বিভিন্ন দলের রাষ্ট্রনেতারা । এই চত্বর পরিণত হয়েছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিলন ক্ষেত্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনহিতকর কাজ থেকে শুরু করে মহিলাদের শিক্ষার বিকাশের পাশাপাশি সমাজ সংস্কারের অসামান্য অবদান দাদা হুজুর রেখে গেছেন । সেই গৌরবময় ইতিহাস আজও সমাজকে সমৃদ্ধ করেছে।স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা সর্বজনীন।বলা যায় মানবকল্যাণের প্রতি ফুরফুরা শরীফের অবদান অনস্বীকার্য। পরম্পরা মেনে এবং পরীক্ষার জন্য বিনামাইকে সভা পরিচালিত হয়, এটাই বিশেষত্ব।এখানে মহিলাদের আসা ও নেশাকর দ্রব্য সেবন করা নিষেধ। মাজার ও প্রার্থনা স্থান-সহ দর্শনীয় একাধিক জায়গা সেজে উঠেছে। রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন মিস্টি ও পসরার দোকান রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে দরবারের চারিদিকে নতুন করে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। মানুষের সেবার জন্য পিরসাহেব, অসংখ্য পিরজাদা ও তাঁদের বহুমুখী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোও তৈরি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct