আপনজন ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলের অমানবিক হামলার অবসান হচ্ছে না। একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর এ হামলার কোনো ‘নৈতিক বা আইনি সীমাবদ্ধতা’ নেই বলে জানিয়েছে ব্রাজিল। শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রাণ নিতে আসা ১১২ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যার নিন্দা করেছে ব্রাজিল এবং ইসরাইলের সামরিক অভিযানের ‘নৈতিক বা আইনী সীমা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশটি।ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ‘মানবতা’ শব্দটির কোনো ব্যবহার নেই। গাজায় নতুন করে সংগঠিত গণহত্যা প্রতিরোধের এখনই সময় বলেও উল্লেখ করা হয়। ব্রাজিল পুরো যুদ্ধ জুড়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতিরক্ষায় সোচ্চার হয়েছে এবং বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরাইলের হামলায় বৃহস্পতিবার ভোরে কমপক্ষে ১১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭৬০ জন। হামলার আগে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে আল-রাশিদ স্ট্রিটে ত্রাণের জন্য ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তাদের ওপর বিমান হামলা ও ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী।তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরাইল। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দেশটি বলছে, ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো আক্রমণের পর ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে তারা। হামলার পর ত্রাণ দিতে আসা ট্রাকগুলোকে একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সের কাজে ব্যবহার করা হয়। হতাহতদের কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ও আল-শিফা হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে একসাথে এত মানুষকে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়।গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা এই হামলায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর তাদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজারই শিশু। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct