আপনজন ডেস্ক: পল পগবা। ৩০ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার ইতিমধ্যে পেয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। বর্ণিল ক্লাব ক্যারিয়ারেও জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা।আগামীতে যে ক্ষুরধার এই ফুটবলারের অর্জনের ঝুলি আরও সমৃদ্ধ হতো তার আর অপেক্ষা রাখেনা।তবে হঠাৎই এক ধাক্কায় এই প্রতিভাবান ফরাসি মিডফল্ডারের ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে পড়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাগ গ্রহণের দায়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পল পগবাকে।এত বড় নিষেধাজ্ঞা যেন কোনভাবেই মানতে পারছেন না এই জুভেন্টাস তারকা। নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে একটি বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পগবা।যেখানে তিনি এই নিষেধাজ্ঞার খবরে বিস্মিত হতবাক ও ব্যাথিত হয়েছেন বলে জানান এই ৩০ বছর বয়সী তারকা।এই রায়ে তার প্রতি সুবিচার করা হয়নি বলেও তিনি মনে করছেন। বিবৃতিতে পগবা বলেন,আজ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি, রায়টি সঠিক হয়নি। আমি মর্মাহত, বিস্মিত এবং আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমার পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবনে যা কিছু অর্জন করেছি, তা আমার কাছ থেকে মুহুর্তেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপ-বিরোধী কোনো কাজ করেননি বলেও দাবি করেন ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার। তিনি বলেন,যখন আমি আইনি বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত হব, তখন পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, কিন্তু আমি কখনই জেনেশুনে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপ-বিরোধী নিয়ম লঙ্ঘন করে এমন কোনো ওষুধ গ্রহণ করিনি। উল্লেখ্য, ৩০ বছর বয়সী পগবা ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন। রয়টার্স জানিয়েছে, পগবার চার বছরের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইতালির অ্যান্টি–ডোপিং প্রসিকিউটর কার্যালয় দেশটির অ্যান্টি–ডোপিং ট্রাইব্যুনালে অনুরোধ জানিয়েছিল। আদালত সেটি গ্রহণ করেছেন। গত বছরের ২০ আগস্ট সিরি ‘আ’–তে জুভেন্টাস–উদিনেসে ম্যাচের পর করা ডোপ পরীক্ষায় পগবার শরীরে টেস্টোস্টেরনের (পুরুষদের প্রধান স্টেরয়েড হরমোন, যা শুক্রাশয়ে উৎপন্ন হয়) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। টেস্টোস্টেরন খেলোয়াড়দের মাঠে শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এর জেরে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পগবাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct