রফিকুল হাসান, হাসনাবাদ, আপনজন: কেরলের শিহাব ভাইকে দেখে মনে ইচ্ছা জেগেছিল পায়ে হেঁটে উমরাহ হজ করতে যাবেন। কিন্তু বিভিন্ন দেশের পারমিশন ও অর্থের অভাবে হেঁটে এয়রপোর্ট যাচ্ছেন বছর ৪১ এর মোহাম্মদ আবদুস সালাম গাজী। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার ঘোলা হসপিটাল গ্রাম থেকে বুধবার দুপুর ১টাই তিনি পায়ে হেঁটে কলকাতার দমদম এয়রপোর্ট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। মালঞ্চ হয়ে ঘটকপুকুর, ভাঙ্গর, হাতিশালা, নিউটাউন হয়ে সোজা তিনি দমদম এয়রপোর্টে পৌঁছাবেন বৃহস্পতিবার বিকালের আগে। তারপর এয়রপোর্টে তিনি রেস্ট নেবেন এবং শুক্রবার ভোর তিনটের ফ্লাইটে তিনি মুম্বাই যাবেন। ওখান থেকে জেদ্দার ফ্লাইট ধরে তিনি মক্কা-মদিনায় পৌঁছবেন বলে এমনটাই জানিয়েছেন। বুধবার রাতে ভাঙ্গর এলাকার কোন এক মসজিদ বা মাদ্রাসায় তিনি রাত্রি যাপন করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে মুহাম্মদ আব্দুস সালাম গাজী বলেন, কেরলের হাজী শিহাব ভাই পায়ে হেঁটে যেভাবে হজ সম্পন্ন করেছেন তাকে দেখে আমার মনে ইচ্ছা হয়েছিল। সেইমতো আমার এলাকার লোকজন আমাকে উৎসাহ জুগিয়ে ছিলেন। বলাবাহুল্য, ঘোলা এলাকায় আব্দুস সালাম সাহেব পায়ে হেঁটে বহু এলাকায় যান এবং খুব দ্রুত গতিতে তিনি হাঁটতে পারেন বলে এলাকায় তিনি বেশ পরিচিত। সেই সূত্রেই পায়ে হেঁটে উমরাহয় যাবেন বলে তিনি ফেসবুকে বেশ কয়েক মাস আগে লাইভও করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের পারমিশন ও অর্থের অভাবে তার সেই আশায় ছাই পড়ে যায়। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের জমানো তিরিশ হাজার টাকা ও বিভিন্ন দিক দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে তিনি এক বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উমরাহ হজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এটা কি লোক দেখানো? এই প্রশ্নের জবাবে সালাম সাহেব বলেন, না আমি যেহেতু ফেসবুক লাইভে বলেছিলাম যে পায়ে হেঁটে উমরাহয় যাব তো বিভিন্ন কারণে সেটা সম্পূর্ণ হয়নি। তাই শেষমেশ আমি আমার হাসনাবাদের ঘোলা গ্রাম থেকে এয়রপোর্ট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাওয়র নিয়ত করেছিলাম এবং সেই নিয়তেই বেরিয়েছি। আর তার মনের এক সুপ্ত বাসনা নিয়েও আল্লার নবীর দরবারে যাচ্ছেন বলে তিনি সকলের কাছে দোয় কামনা করেছেন। হাসনাবাদ থেকে এয়রপোর্টে ৫০ কিমি রাস্তা তিনি পায়ে হেঁটে আসছেন। তবে তাঁর সামান পত্র টোটো গাড়ি করে নিয়ে আসছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct