আপনজন ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং সেই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সেনা অ্যারন বুশনেল। কেবল তাই নয়, মৃত্যুর আগে তিনি নিজের সব সঞ্চয় ফিলিস্তিনি শিশুদের সহায়তার জন্য দান করে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি একটি উইল বা দানপত্রও করে গেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। অ্যারন বুশনেল গত রোববার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন। গায়ে আগুন দেওয়ার ভিডিওটি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারও করেছিলেন। সে সময় তিনি ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলেও স্লোগান দিয়েছেন। দুই মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কার ও এনপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ বছরের অ্যারন বুশনেল তাঁর উইলে স্পষ্ট করে গেছেন যে, তিনি তার সঞ্চিত সব অর্থ প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড নামে একটি দাতব্য সংস্থায় দান করেছেন। এই প্রতিষ্ঠান গাজায় মানবিক চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই অ্যারন বুশনেলের গায়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বুশনেল নিজেই ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন। ওই ভিডিওর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গায়ে আগুন দেওয়ার আগে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না, থাকতে চাই না। গায়ে আগুন ধরে যাওয়ার পরও বুশনেল চিৎকার করে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বা ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই’ বলছিলেন। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এর আগে, গত ডিসেম্বরেও আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে এক প্রতিবাদকারী নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন, অ্যারন বুশনেল টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওর বাসিন্দা। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ বিমান সেনা লিংকডইন আইডিতে নিজেকে ‘একজন উদীয়মান সফটওয়্যার প্রকৌশলী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ২০২০ সালের মে মাস থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বুশনেল ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নওসেটস পাবলিক স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তিনি ম্যাসাচুসেটসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct