আপনজন ডেস্ক: পবিত্র মসজিদে নববীতে এসে প্রশান্তিতে ভরে যায় মুসল্লিদের অন্তর। সেখানে ছড়ানো হয় সবচেয়ে উন্নতমানের সুগন্ধি। সব সময় এসব সুগন্ধি থাকলেও রমজান মাসে, বিশেষত মাগরিবের নামাজের পর ও তারাবির নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে সুগন্ধি ব্যবহারের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়।সাধারণত সুগন্ধিগুলো পবিত্র মসজিদে নববীর দক্ষিণ দিক থেকে শুরু হয়ে উত্তর দিকে এসে শেষ হয়। মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মাসে ছয় শতাধিক ‘উদ’ রাউন্ড পরিচালনা করে। এতে অন্তত ২৮ কেজি উদ নামক প্রাকৃতিক সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া মসজিদে প্রবেশকালে মুসল্লিদের মধ্যে উদের ধোঁয়া, আতর, মিশকসহ মূল্যবান সুগন্ধি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। মসজিদে নববীর পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে সুগন্ধি কার্যক্রমের পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত রাখতে নানা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন মসজিদে নববী ও এর পুরো আঙিনা অন্তত পাঁচবার পরিষ্কার করা হয়। তা ছাড়া এর টয়লেটগুলো প্রতিদিন অন্তত ১০ বার পরিষ্কার করা হয় এবং জুতার বাক্সগুলো তিনবার জীবাণুমুক্ত করা হয়। মসজিদের কার্পেট প্রতিদিন ৩০০ মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। তা ছাড়া ৯২টি মেশিন দিয়ে মসজিদের মেঝে ধোয়া হয়।এই মেশিনে প্রতিদিন ১৮ হাজার লিটার পরিবেশবান্ধব জীবাণুনাশক ও দেড় হাজার লিটার ফ্লোর ফ্রেশনার ব্যয় হয়। ২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশের এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করে, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। আগামী হজ মৌসুম শুরুর আগেই দুই কোটির বেশি মুসল্লি ওমরাহ পালন করবে বলে আশা করছে সৌদি আরব। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct