আপনজন ডেস্ক: ১৯৯৩ সালে বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডাকে (৮০) বৃহস্পতিবার বেকসুর খালাস করল রাজস্থানের আজমিরের টাডা আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইরফান (৭০) ও হামিদউদ্দিন (৪৪) নামে আরও দুই ব্যক্তিকে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ তাঁদের টাডা আদালতে হাজির করে পুলিশ। ১৯৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর লখনউ, কানপুর, হায়দরাবাদ, সুরাট ও মুম্বইয়ে ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ছিল এই তিনজন। ২০০৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি টাডা আদালত এই মামলায় ১৬ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সুপ্রিম কোর্ট চারজনকে খালাস দিয়েছিল এবং বাকিদের সাজা বহাল রেখেছিল। ১৯৯৬ সালে দিল্লিতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে টুন্ডার বিরুদ্ধে। আর ওই বছরই তার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। ২০০০ সালে বাংলাদেশে টুন্ডা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও ২০০৫ সালে লস্কর জঙ্গি আবদুল রাজ্জাক মাসুদ দিল্লিতে ধরা পড়ে। ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার পরে পাকিস্তান থেকে যে ২০ জন সন্ত্রাসবাদীকে ভারতে প্রত্যর্পণ চেয়েছিল তাদের মধ্যে টুন্ডাও ছিলেন। অবশেষে ২০১৩ সালে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কথিত আছে, বোমা বানাতে গিয়ে হাত হারানোর পর আবদুল করিমের নাম রাখা হয় ‘টুন্ডা’। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৩টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে প্রায় ৪০টি বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে। টাডা মামলার শুনানির জন্য সারা দেশে মাত্র তিনটি বিশেষ আদালত রয়েছে। সেগুলি হল মুম্বই, আজমির ও শ্রীনগর। শ্রীনগর আদালত নবগঠিত হয়েছে, তাই উত্তর ভারত সম্পর্কিত বেশিরভাগ মামলার আজমিরের টাডা আদালতে শুনানি হয় এবং দক্ষিণ ভারত সম্পর্কিত মামলার শুনানি মুম্বাইয়ে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct