আপনজন ডেস্ক: ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে জার্সি বিক্রির প্রচলন শুরু হয়েছিল গত শতকের ’৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। ১৯৭৩ সালে ইংলিশ ক্লাব লিডস ইউনাইটেডের জার্সি বানিয়ে দিয়েছিল অ্যাডমিরাল, যা ছিল ক্লাব ফুটবলে কোনো ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতার প্রথম ঘটনা।অ্যাডমিরালের বানানো হোয়াইট স্ট্রিপ জার্সি পরেই ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ইংলিশ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিডস। ওই মৌসুমেই লিডসের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে কোচ ডন রেভির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ এক বিক্রয়কর্মীর। তাঁর হাত ধরেই শুরু জার্সি বিক্রির যাত্রা।সেই যে শুরু, এরপর পাঁচ দশক ধরে ক্লাবের জার্সি ও অন্যান্য স্মারক বিক্রি এবং এতে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টতা এতটাই বেড়েছে যে বর্তমানে এটি উয়েফার বার্ষিক প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।উয়েফা সম্প্রতি ২০২৩ অর্থবছরের আর্থিক ও বিনিয়োগ–বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত বছর জার্সি ও স্মারক বিক্রি করে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে বার্সেলোনা। স্পেনের ক্লাবটি জার্সি ও স্মারক বিক্রি করে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ইউরো আয় করেছে।করোনার সময় থেকেই বার্সা অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। লা লিগার বেতন সীমাসংক্রান্ত নীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে লিওনেল মেসির সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি তারা। মেসি যেখানেই যান, প্রচারের আলো সেখানেই পড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct