আপনজন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের পণ্যগুলিকে ‘ওষুধ’ হিসাবে বিজ্ঞাপন বা ব্র্যান্ডিং করার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং এই তথাকথিত ওষুধগুলি সমস্ত ধরণের প্রতিকার সরবরাহ করবে বলে দাবি করে “মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” বিজ্ঞাপন বন্ধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
আদালত পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে অ্যালোপ্যাথির অন্য কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করেছে। সপ্তাহ দুয়েক পর ফের এই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ পতঞ্জলির মালিক বাবা রামদেব ও বিচারপতি আচার্য বালাকৃষ্ণনকে নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, আদালত অবমাননার মামলা কেন করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নীরব থাকার সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত বলেছে, সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।
মঙ্গলবার আদালদের আদেশ অনুসারে, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ (আপত্তিকর বিজ্ঞাপন) আইন ১৯৫৪-এ উল্লিখিত রোগ সম্পর্কিত পণ্যগুলির বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। এই আইনে মহিলাদের গর্ভধারণ প্রতিরোধ, মহিলাদের ঋতুস্রাবের ব্যাধি সংশোধন, যৌন পুরুষত্বহীনতা, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, গ্লুকোমা, রক্তচাপ, টাইফয়েড এবং ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের ব্যাধি, জরায়ু, স্নায়ুতন্ত্র এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির ব্যাধি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই আইনে এ জাতীয় ৫৪টি রোগ ও ব্যাধি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রামদেবের টিকাকরণ অভিযান এবং প্রমাণ-ভিত্তিক ওষুধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য ২০২২ সালে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি চলছিল। পিটিশনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে হাঁপানির মতো নির্দিষ্ট রোগ নিরাময়ের মিথ্যা দাবি করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct