আপনজন ডেস্ক: অনেকে প্রায় তিন বেলাই ভাত খেয়ে থাকেন। ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদি সমস্যার কারণে অনেক সময় ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমাতে বলেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। সেক্ষেত্রে অনেকেই বুঝতে পারেন না ভাতের পরিবর্তে কী খাওয়া যায়। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ভাত শর্করা জাতীয় খাদ্য। প্রতিদিন ভাত বেশি পরিমাণে খেতে থাকলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। ১০০ গ্রাম সাদা ভাতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১২০ এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় ২৫ গ্রাম। প্রতিদিন কায়িক শ্রম, ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ক্যালরি খরচ করে ফেলতে পারলে সমস্যা নেই। তবে যদি কায়িক শ্রম না করে সারাদিন শুয়ে-বসে থাকেন, তবে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে পারে। আবার যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ভাত গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। ভাতের পরিবর্তে একজন ব্যক্তি কী খাবেন সেটা নির্ভর করবে তার শরীরের অবস্থার ওপর। একজন সুস্থ ব্যক্তি ভাতের পরিবর্তে অনেক ধরনের খাবার খেতে পারেন। সেটি হতে পারে রুটি, মুড়ি, খই, সাবু, পাস্তা, চিড়া, ওটস, মিষ্টি আলু বা অন্যান্য আলু। ওজন কমানোর জন্য ভাত খাওয়া বাদ দিলে কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট, হোল গ্রেইন্স জাতীয় খাবার যেমন ওটস, লাল আটার রুটি, লাল চিড়া এ ধরনের খাবার খেতে হবে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের পাশাপাশি প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন শাকসবজি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রান্না করে খেতে হবে। যাদের হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তারা ভাতের পরিবর্তে মুড়ি খাবেন না। তবে খই, চিড়া খেতে পারেন। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভাতের পরিবর্তে লাল আটার রুটি, ওটস খাবেন। চালের আটা রুটির, সুজি, সাবু, মুড়ি এগুলো খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। এ ছাড়া যে যে ধরনের খাবার ধীরে ধীরে রক্তের শর্করা বাড়ায় সেগুলো গ্রহণ করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct