আপনজন ডেস্ক: ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সর্বশেষ হামলার নিন্দা করে ইরান রবিবার অভিযোগ করেছে, দেশ দুটি এই অঞ্চলে ‘উত্তেজনা ও সংকট বাড়াতে’ চাইছে। এর আগে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী শনিবার ইয়েমেনে ১৮টি হুতি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালায়। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ধরনের হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংকট বাড়াতে এবং যুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতার সুযোগ বাড়াতে চায়। অবশ্যই এই ধরনের স্বেচ্ছাচারী ও আক্রমনাত্মক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ছাড়া এই আগ্রাসী দেশগুলো কিছুই অর্জন করবে না।এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী অভিযান বন্ধে ‘তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কানানি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের আরো নিন্দা করেন।হুতিরা বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তারা লোহিত সাগরের আশপাশে জাহাজ চলাচলের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের বিধ্বংসী সামরিক অভিযান শুরু হয়। ইরান হামাসকে সমর্থন করলেও ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে, লেবানন, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সহিংসতাও ছড়িয়ে পড়েছে।শনিবারের হামলার পর পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।’অন্যদিকে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে।ইরান আগে জোর দিয়ে বলেছিল, এই অঞ্চলে ‘প্রতিরোধ গোষ্ঠী’কে সমর্থন করা তেহরানের ‘কর্তব্য’ হলেও তারা সিদ্ধান্ত ও কর্মে ‘স্বাধীন’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct