নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: গয়না পরিষ্কার করার নামে কৌশলে এক পাট ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তি।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায়। এই ঘটনায় এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনার খবর পেয়ে রাতে ওই এলাকায় ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।যদিও ততক্ষণে ওই দুই দুষ্কৃতী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।নিজের সামান্য ভুলে এবং অপরিচিত লোককে বিশ্বাস করে সোনার গয়না হারিয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা তথা পাট ব্যবসায়ী পাপ্পু চৌধুরীর বাড়িতে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে দুই অপরিচিত ব্যক্তি আসে।তার পরেই বাড়ির কাঁসার বাসনপত্র পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা বলে।পাপ্পু বাবুকে জানায় তাদের কাছে বিশেষ পাউডার এবং স্প্রে রয়েছে।যা দিয়ে নিমেষে সোনার গয়না পরিষ্কার হয়ে যাবে।কিন্তু পাপ্পু চৌধুরী ওই দুই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।এরপরই ওই দুই ব্যক্তি পাশের আরেক পাট ব্যবসায়ী কেশর মল জৈনের বাড়িতে ঢুকে তাঁর তিন তলার বসার ঘরে গিয়ে একই প্রস্তাব দেন।কেশর মল বাবু বিশ্বাস করে তাদের হাতে বেশ কিছু সোনার গয়না পরিষ্কারের জন্য দিয়ে দেন। কিন্তু গয়না পরিষ্কার করার ছলে নিমেষের মধ্যে ওই গয়না গুলি হাপিস করে দিয়ে চোখের পলকের মধ্যেই তারা দ্রুত বেগে পালিয়ে যায়।বৃদ্ধ কেশর মলের চেঁচামেচি তে বাড়ির লোকজন বেরিয়েও ওই দুই দুষ্কৃতিকে ধরতে পারেনি।খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশে।সমস্ত ঘটনায় রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়েছে বলে খবর।ঘটনার তদন্তে নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কেশর মল জানান,ওই দুই অপরিচিত ব্যক্তি প্রথমে কোম্পানির লোকের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে।বিশেষ পাউডার দিয়ে বাসনপত্র,সোনা ও রুপোর গয়না পরিষ্কার করে থাকেন বলে জানান।প্রথমে একটা কাঁসার বাটি পরিষ্কার করে দেখান।এরপর সোনার অলঙ্কার গুলো পরিষ্কার করার জন্য হাতে দিতেই সেগুলো নিয়ে তারা চম্পট দেয়।আড়াই ভরি সোনার বালা,১৫ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন ও ৫ গ্রাম ওজনের সোনার আংটি নিয়ে তারা চম্পট দিয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ রাতেই অভিযোগ নিয়ে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct