আপনজন ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের এখন লক্ষ্য মত পার্থক্য ভুলে কীভাবে সব বিজেপি বিরোধী দলকে এক মঞ্চে নিয়ে আসা। তারই প্রথম পেদক্ষেপ হিসেবে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের আসন রফার ঘোষণা দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের জন্য। এরপরই আসরে নামে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি কে কোন আসনে লড়ছে তাই জানিয়ে দেয়। এর পর ইন্ডিয়া জোটকে আরও শক্তিশালী করতে এবার ময়দানে নামলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি পার্টির প্রধান মুখ লালু প্রসাদ যাদব। তার সঙ্গে সাথ দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও। তারা দুজনেই চাইছেন পশ্চিমবাংলায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হোক। যদিও পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সমঝোতার রাস্তাটা অনেকটাই কণ্টকময়। কারণ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই মেরুতে অবস্থান করছে।
চলতি মাসের গোড়ায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যখন বাংলায় গেল, তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় তাঁর দল একাই চলবে। সেখানেই থেমে থাকেননি মমতা। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে কংগ্রেস ৪০টি আসন পেয়ে দেখাক। তৃণমূল জানিয়ে দেয়, তারা লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে একাই লড়বে। এরপরই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ততার জায়গায় পৌঁছয়। অধীর চৌধুরি সরাসরি মমতাকে বহরমপুরে তাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ জানালেও কংগ্রেসের একটি অংশ তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার জন্য কিছু প্রস্তাব দেয়া হয় তাতে বাংলায় ছটি আসন দাবি করা হয়। কিন্তু তৃণমূল মাত্র দুটি আসন ছাড়ার ব্যাপারে অনড় থাকায় জোটের সম্ভাবনা কমতে থাকে। তার উপর শনিবার অধীর জানিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস এ রাজ্যে তৃণমূল নয়, সিপিএমের সঙ্গে জোট করতে চায়। ফলে ভোট ভাগের সুবিধা পাওয়া সম্ভাবনা থেকে যায়, যাতে লাভবান হতে পারে বিজেপি। সেই বিষয়টি বোধহয় অনুধাবন করে মমতাকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রাজি করাতে উদ্যোগ নিলেন লালু প্রসাদ যাদব ও অখিলেশ যাদব। যেভাবে অন্য রাজ্যে আপ ও সপার সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছে সেই পথেই মমতাকে জোটের পথে এগোতে ফোন করেন লালু ও অখিলেশ। এ প্রসঙ্গে যদিও তৃণমূলের তরফে কোন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct