আপনজন ডেস্ক: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী শনিবার জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে বাংলায় সম্ভাব্য আসন সমঝোতার জন্য তিনি সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।তিনি বলেন, “মহম্মদ সেলিমের (সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক) সঙ্গে আমার কথা চলছে। বহরমপুরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে জোট করতে চাই।অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্য দিল্লির কিছু কংগ্রেস নেতার অবস্থানের বিপরীত, যারা জোর দিয়ে বলছেন যে তৃণমূলের সাথে আলোচনা চলছে এবং অচলাবস্থা শীঘ্রই শেষ হবে।অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট নিয়ে দিল্লির কংগ্রেস নেতারা কী বলছেন তা তাঁর জানা নেই।তৃণমূলের সমস্যা হল, ভারত থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বাংলায় সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। যদি তারা ঘোষণা করে যে তারা ব্লকের সঙ্গে আছে, তাহলে তারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতিসক্রিয় হয়ে ওঠার ভয় পাচ্ছে। “তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে কোনটি তাদের জন্য বেশি মূল্য দিতে হবে। চলতি মাসের গোড়ায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যখন বাংলায় গেল, তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় তাঁর দল একাই চলবে। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের মধ্যে তৃণমূলের ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে।সেলিম বলেন, অধীর চৌধুরীর বক্তব্য বাংলার হাওয়া পরিষ্কার করবে। ভোটের আগে সর্বভারতীয় আসন রদবদলের পক্ষে নয়। প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব রাজনৈতিক বাস্তবতা ও অবস্থা রয়েছে। মণিপুর আর গুজরাট আলাদা। কেরল আর পাঞ্জাব এক নয়। পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।সেলিম বলেন, বাংলায় বিজেপি বিরোধী, তৃণমূল বিরোধী জোটের সম্ভাবনা নিয়ে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছে।তিনি বলেন, “আমরা সিপিআই এম-এল (লিবারেশন)-এর সঙ্গেও কথা বলেছি, যারা বামফ্রন্টের অংশ নয়। শিগগিরই বামফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গেও কথা বলব। তিনি বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী যে কোনও দলকে স্বাগত। বাংলায় উত্থানের সিঁড়ি হিসেবে তৃণমূলকে ব্যবহার করেছে আরএসএস। আমরা এটা চলতে দিতে পারি না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct