মনিরুজ্জামান, বসিরহাট, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়ন খতিয়ে দেখতে ও জনপ্রতিনিধিদের সমস্যা শুনতে সরাসরি ব্লকে ব্লকে রিভিউ মিটিং শুরু করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকার সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকে প্রশাসনিক রিভিউ মিটিংয়ে সভাধিপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক পিনাকী রঞ্জন প্রধান,জেলা পরিষদের সচিব প্রভাত কুমার চ্যাটার্জি, সহকারী সভাধিপতি বীণা মন্ডল,জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ আরশাদ উদ জামান, বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, কর্মাধ্যক্ষ দীপক লাহিড়ী, জাহানারা বিবি সহ জেলা পরিষদের আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ার, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি,পঞ্চায়েত প্রধান সহ জনপ্রতিনিধিরা।
সভাধিপতি হয়েই নারায়ণ গোস্বামী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবেন। তারজন্য জেলা থেকে পঞ্চায়েতস্তরের সকল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কাজের খতিয়ান ও তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁচ্ছে দিতে গোটা জেলা পরিষদকে ব্লকে ব্লকে, পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে নিয়ে যাবেন। একেবারে তৃণমূলস্তরে।সেই কাজই করে চলেছেন নারায়ণ গোস্বামী। এদিন যেমন উন্নয়নের খতিয়ান নিলেন তেমনই ভাবে যে যে কাজ করা যায়নি তার ব্যাখ্যাও চাইলেন এবং বাকী থাকা কাজ দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি প্রতিটি পঞ্চায়েত ধরে ধরে উন্নয়নের হিসাব নেন। সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন,উন্নয়নের টাকা সময়ের মধ্যে খরচ করতে না পারলে আগামীদিনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের নামের তালিকা পাঠানো হবে। নারায়ণ গোস্বামী বলেন, গ্রামীণ ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই সচেষ্ট। মানুষের উন্নয়ন কোনও কারণেই আটকে রাখা যাবে না। জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি ব্লকে ব্লকে ঘুরব। পঞ্চায়েতের কাজের অগ্রগতি জানব। যদি কোনও সমস্যা থাকে নিজের কানে শুনে সেখানেই সমস্যার সমাধান করব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। সময়ের মধ্যে করতে হবে কাজ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct