আপনজন ডেস্ক: ২০০৪ সাল থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়া প্রায় ২৩ জন সাংসদের সস্মিলিত সম্পত্তি ১৫ বছরে ৩৫.১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪০২.৭৯ কোটি টাকা হয়েছে। চারবার পরপর সাংসদ হওয়া ২৩ জনের সম্পত্তির বিবরণ বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। এডিআর তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ রমেশ জিগাজিনাগি (বিজাপুর) ঘোষণা করেছেন, ২০০৪ সালে ৫৪.৮ লক্ষ টাকা থেকে ২০১৯ সালে ৫০.৪১ কোটি টাকা হয়েছে, যা ৪৯.৮৬ কোটি টাকা বেড়েছে।কর্নাটকে আরও পাঁচজন সাংসদ রয়েছেন, যারা সকলেই ২০০৪ সাল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, যা তালিকার যে কোনও রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ। জিএম সিদ্ধেশ্বর (দাভানাগেরে) তাঁর সম্পত্তি ৫.০২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩৮.০১ কোটি টাকা (৬৫৬ শতাংশ), ডিভি সদানন্দ গৌড়ার সম্পত্তি ৪৬.৩৯ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ২০.৯৩ কোটি টাকা হয়েছে (৪৪১৩ শতাংশ)।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর (ধারওয়াড়) সম্পত্তি ৭৭.৬০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১১.১৩ কোটি টাকা (১,৩৩৫ শতাংশ) হয়েছে, যেখানে অনন্তকুমার হেগড়ের সম্পত্তি ১২.০৬ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ৮.৪৭ কোটি টাকা হয়েছে (৬,৯২৮ শতাংশ)।
পিসি গাদ্দিগৌদারের (বাগালকোট) সম্পত্তির পরিমাণ ৫৩.৭৫ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪.৩৯ কোটি টাকা (৭১৮ শতাংশ)।২০০৪ সাল থেকে পুনর্নির্বাচিত ২৩ জন সাংসদের মধ্যে বিজেপির ১৭ জন, কংগ্রেসের তিনজন এবং এআইএমআইএম, শিবসেনা ও বিজেডির একজন করে সাংসদ রয়েছেন। ২০০৪ সালে এই সাংসদদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১.৫২ কোটি টাকা, ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩.৪৬ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে ৯.৮৫ কোটি টাকা এবং ২০১৯ সালে ১৭.৫১ কোটি টাকা।প্রতিটি নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গড় সম্পদ বৃদ্ধি ছিল ১৫.৯৮ কোটি টাকা বা ১,০৪৫ শতাংশ।জিগিজিনাগির পরে বিজেপির মানেকা গান্ধি (সুলতানপুর) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে - ৬.৬৬ কোটি টাকা থেকে ৫৫.৬৯ কোটি টাকা বা ৭৩৫ শতাংশ - তারপরে বিজেপির রাও ইন্দ্রজিৎ সিং (গুরগাঁও), একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যিনি দেখেছেন যে তাঁর সম্পত্তি ৫.৫১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪২.০৯ কোটি টাকা হয়েছে (৬৬৪ শতাংশ)। সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় মানেকা ছাড়াও রয়েছেন রাহুর গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধিও। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সম্পত্তি ২০০৪ সালে ৫৫.৩৮ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ২০০৯ সালে ২.৩২ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে ৯.৪ কোটি টাকা এবং ২০১৯ সালে ১৫.৮৮ কোটি টাকা হয়েছে। গত ১৫ বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২,৭৬৯ শতাংশ, অন্যদিকে তাঁর মা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার সম্পত্তির পরিমাণ ১,২৮০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫.৬৮ লক্ষ টাকা থেকে ১১.৮২ কোটি টাকা।তালিকার তৃতীয় কংগ্রেস নেতা হলেন দলের লোকসভা নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, যাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪২২ শতাংশ বেড়ে ১.৯৩ কোটি টাকা থেকে ১০.১৩ কোটি টাকা হয়েছে।বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, ৯ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন মহিলা ছিলেন সোনিয়া, মানেকা এবং শিবসেনার ভাবনা গাওলি (ইয়াবতমাল ওয়াশিম)।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct