আপনজন ডেস্ক: শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৬ রান। কিন্তু টিম সাউদির প্রথম ৩ বল থেকে মিচেল মার্শ, টিম ডেভিডরা তুলতে পারলেন মাত্র ৩ রান, সঙ্গে ওয়াইড থেকে ১। শেষ ৩ বলে সমীকরণটা দাঁড়ায় ১২ রানের। চতুর্থ বলে ছয়, পঞ্চম বলে ডাবলস আর শেষ বলে চার মেরে সেই সমীকরণটা মিলিয়েই ফেললেন ডেভিড। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের ১০ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিডের সঙ্গে ৪৪ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মার্শ।ওয়েলিংটনের স্কাই স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে কিউইরা তুলেছিল ২১৫ রান। যে রান তাড়ায় শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৩৫ রান। অ্যাডাম মিলনে প্রথম তিন বলে মাত্র ৩ রান দিয়ে চাপে ফেলে দেন ডেভিড-মার্শকে। তবে শেষ ৩ বলে ডেভিড একটি চার ও দুটি ছয় মেরে শেষ ওভারের প্রয়োজন ১৬ রানে নামিয়ে আনেন।নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের উল্লাস পরের ওভারে সাউদির প্রথম ৩ বলেও বাউন্ডারি হয়নি। কিন্তু পরের ৩ বলে দরকারি রান ঠিকই তুলে নেন সিঙ্গাপুরে জন্ম নেওয়া ডেভিড। ম্যাচসেরার স্বীকৃতিটা উঠেছে অবশ্য মার্শের হাতে। তিনে নামা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৭টি ছয় আর ২টি চারে খেলেন ৭২ রানের ইনিংস।এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড দুই শর বেশি রানের সংগ্রহ গড়ে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর সৌজন্যে। কনওয়ে ৪৬ বলে আর রবীন্দ্র ৩৫ বলে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুক্রবার অকল্যান্ডে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে–রাচিন রবীন্দ্র
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ২১৫/৩ (অ্যালেন ৩২, কনওয়ে ৬৩, রবীন্দ্র ৬৮, ফিলিপস ১৯*, চ্যাপম্যান ১৮*; স্টার্ক ৪–০–৩৯–১, হ্যাজলউড ৪–০–৩৬–০, ম্যাক্সওয়েল ২–০–৩২–০, কামিন্স ৪–০–৪৩–১, মার্শ ৩–০–২১–১)।
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ২১৬/৪ (হেড ২৪, ওয়ার্নার ৩২, মার্শ ৭২*, ম্যাক্সওয়েল ২৫, ইংলিস ২০, ডেভিড ৩১*; সাউদি ৪–০–৫২–০, মিলনে ৪–০–৫৩–১, ফার্গুসন ৪–০–২৩–১, স্যান্টনার ৪–০–৪২–২, সোধি ৪–০–৪২–০)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল মার্শ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct