মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: দক্ষিণ দামোদরের মানুষ এক ঐতিহাসিক সন্ধি ক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে। বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেলওয়ে যেটা বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত চলে সেই ট্রেন সংযুক্ত হচ্ছে কড লাইনে। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া ট্রেন চলাচল শুরু হলে এই এলাকার আর্থসামাজিক ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। কিছুদিন আগে বাঁকুড়া মশাগ্রাম ট্রেন ইলেকট্রিফিকেশন হয়েছে। চালু হবে বাঁকুড়া হাওড়া ট্রেন পথ । বিষ্ণুপুরের এমপি সৌমিত্র খান অলরেডি ঘোষণা করেছেন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রেলওয়ে মিনিস্টার অশ্বিনী বৈষ্ণব এই রেলের উদ্বোধন করবেন। এর ফলে বাঁকুড়া থেকে কলকাতার দূরত্ব কমে যাবে দু’ঘণ্টা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এই দিকে পাশ করানোর সম্ভাবনা। দুর্গাপুর রানিগঞ্জ আসানসোল কয়লা খনি বেল্ট এলাকায় বড় বড় এক্সপ্রেস ট্রেন ওই এলাকার ধ্বস নামিয়ে দিচ্ছে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ওই এলাকা। এরকম সম্ভাবনা শোনা যাচ্ছে যে বড় বড় এক্সপ্রেস ট্রেন এইদিক দিয়ে পাশ করানো হবে। বর্তমানে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং দক্ষিণ দামোদরের রায়না ,খন্ডঘোষ ,মাধবডিহি ,ইন্দাস, পাত্রসায়ের সহ বাঁকুড়া এবং বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এতে ব্যাপক উপকৃত হবে। কম খরচে হাওড়া হয়ে মানুষ কলকাতা পৌঁছাতে পারবে। যেটা অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি খরচা করে তাদেরকে কলকাতা যেতে হতো। সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হবে বর্ধমান শহরের। বর্ধমান শহরে বাস না ঢোকার কারণে বর্ধমানের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবসাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । অনেক আন্দোলন লড়াই করে বর্ধমান শহরের উপর দিয়ে বাস পৌঁছায়নি। খুব কম খরচে বর্ধমানে যাওয়ার থেকে মানুষ হাওড়া হয়ে কলকাতা পৌঁছে যাবে। দক্ষিণ দামোদর এর কোন ছাত্র-ছাত্রীকে বর্ধমান শহরে পড়াশুনা করতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতিদিন খরচ করতে হয় সেখানে ওর থেকে অনেক কম খরচে হাওড়া হয়ে ছাত্রছাত্রীরা কলকাতা পৌঁছে যেতে পারবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ,ব্যবসা-বাণিজ্য সহ একটা যুগান্তর সৃষ্টি হবে বলে মানুষের ধারণা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct