নিজমস্ব প্রতিবেদক, সন্দেশখালি, আপনজন: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল করার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বসিরহাট জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবারও ১২ টি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করলো। আজই আবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সন্দেশখালি যান। তার আগে থেকেই জায়গায় জায়গায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যাতে শান্ত এলাকায় নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে।লস্কর পাড়ার পর এবার কর্ডন করে বাঁশের গার্ড ওয়াল দিয়ে শক্ত পোক্ত ব্যারিকেড তৈরী করে সন্দেশ খালি থানায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার সকালে সন্দেশ খালি পৌঁছান রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতিম সরকার,রাজ্য পুলিশের ডিআইজি সিকিউরিটি সুমিত কুমার। শুভেন্দু অধিকারীর ওপর কড়া নজরের পাশাপাশি সন্দেশ খালির সর্বশেষ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে দেখেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।পুলিশি বাধাতে ধামাখালিতেই প্রথমে আটকে পড়েন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাগড়ী পরা এক পুলিশ অফিসার কে দেখে শুভেন্দু অধিকারী তাকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে ঢুকতে বাঁধা দেয় সন্দেশখালিতে, কারণ প্রচুর বিজেপি কর্মী তাঁর সঙ্গে ছিল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ তুলে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। হাইকোর্টের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগও তোলেন রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিশেষে মামলায় হস্তক্ষেপ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন বলে। সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে, নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশের পর শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষের সন্দেশখালিতে যাওয়ার আর কোনো বাধা ছিল না। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশে রীতিমত মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশের। তবে তাদের সন্দেশখালি যাত্রা শর্তসাপেক্ষে হবে। দুজনের বেশি যাওয়া যাবে না। রাজনৈতিক উস্কানিমূলক কোন বক্তব্য রাখা যাবে না। রাজ্য পুলিশি নিরাপত্তায় তারা গ্রামে যাবেন।অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ দুজনকে সন্দেশখালীর নির্যাতিতা গ্রামবাসীদের কাছে প্রবেশ করার অনুমতি দিল রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাট সহ দুজনকে সন্দেশখালি উপদ্রুত প্রবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।সন্দেশখালি এলাকায় এলাকায় ঘোরেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মুহূর্তে পাত্র পাড়ায় নির্যাতিতার রেখা পাত্রের বাড়িতে সিঁড়িতে বসেই মহিলাদের সাথে কথা বলেন শুভেন্দু। পাশে থাকার বার্তা দেন। নিজের ফোন নাম্বার বিনিময় করেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কাছে পেয়ে শেখ শাজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct