মনিরুজ্জামান ও ইস্রাফিল বৈদ্য, বারাসত, আপনজন: সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে দলীয় স্তরে দু’টি তদন্ত কমিটি গড়েছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। আবার ওই এলাকায় যে সব গ্রামবাসী জমির পাট্টা পেয়েছেন অথচ ভূমি দফতরে তার রেকর্ড করা হয়নি এবার সেসব শুরু করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার বারাসাতে জেলা পরিষদ ভবনে সন্দেশখালির পাট্টা পাওয়া গ্রামবাসীরা উপস্থিত হন। সেখানে পাট্টা পাওয়া জমির রেকর্ড করা হবে।কোনও কারণে যাঁরা আগে রেকর্ড করতে পারেননি তাঁদের। তবে পাট্টা জমির রেকর্ড করা নিয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘জেলা ভূমি দফতরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁদের জমির রেকর্ড করা হবে। জেলাশাসক সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব। সেখানে জমি সংক্রান্ত কোনও অনিয়ম আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’
উল্লেখ্য, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন,‘গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।’উল্লেখ্য,সন্দেশখালি এলাকার ৬০ জন উপভোক্তাদের নিয়ে তথ্য যাচাই পরবর্তী জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, মানুষের জন্য কাজ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলা সরকার বদ্ধপরিকর। তাই যেকোনও মূল্যে সাধারণ মানুষের পরিষেবা প্রদান করাই লক্ষ্য। বিরোধীরা কুৎসা অপপ্রচার করে বেশি দিন মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, জেলার আধিকারিকদের তৎপরতায় মানুষের জন্য পাট্টা ও রেকর্ড এর কাজ বছরভর করা হয়ে থাকে। জয়েন্ট ডিরেক্টর ডি এল এন্ড এল আর ও উত্তর ২৪ পরগনা অনুপম দাস মজুমদার বলেন,রেকর্ড ও একটা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এই বৈঠক থেকে নেওয়া হয়েছে এবং সঠিক তথ্য যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই উপযুক্ত বন্দোবস্ত হবে।এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি ব্লকের আর ও অভিজিৎ মুখার্জি, আধিকারিক ফরিদ হাসান মোল্লা, সন্দেশখালি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মহেশ্বর সরদার,সদস্য অষ্টমী সরদার,সদস্য শ্রীদাম হাওলী, সঞ্জয় মন্ডল সহ আরও অনেকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct