দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: টানা প্রায় দশ বছর ধরে একটি সরকারি গ্রন্থাগারে ঝুলছে তালা। খুলছে না ক্লাবও। আর এই সুযোগেই এলাকার কিছু জমি মাফিয়া ক্লাবের মূল্যবান সম্পত্তি ও জমিজমা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি রক্ষা পাচ্ছে না খেলার মাঠও। ঘটনাটি মালদার কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের গয়েশবাড়ি ইয়ংমেন্স লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবের। রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার দপ্তরের অধীনে থাকা এই ক্লাবের একটি খেলার মাঠ রয়েছে বাখরপুরের ফিরানচক গ্রামে। কিন্তু অতীতের এই সুবিশাল ও বড়ো খেলার মাঠটি ধীরে ধীরে ছোট হয়ে গিয়েছে। যেটুকু পড়ে রয়েছে, মাঠের সেই অংশ টুকুর চারপাশে গজিয়ে উঠেছে ঘরবাড়ি। স্থানীয় কিছু দালাল ভুয়ো দলিলের মাধ্যমে কোটি টাকার এই মাঠ বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে গয়েশবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধানের স্বামী কামাল হাসান ক্লাবের জমি অবৈধভাবে বিক্রির তীব্র প্রতিবাদ করার পাশাপাশি দালালচক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। গয়েশবাড়ি গ্রামের সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ক্লাবটি বন্ধ। ক্লাবের মাঠের অংশটুকুও গোপনে বিক্রি করতে সক্রিয় রয়েছে স্থানীয় একটি দালালচক্র। ক্লাবের মাঠ বিক্রির নামে নিরীহ মানুষদের ভুল বুঝিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বায়নামা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মালদার কালিয়াচকের গয়েশবাড়ি ইয়ংমেন্স লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবটি বহু বছরের পুরনো। পরে সেটির দেখভালের দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার বিভাগ। এলাকার একাংশ বাসিন্দার অভিযোগ, গয়েশবাড়ি ক্লাব ও গ্রন্থাগারের গুটি কয়েক কর্মকর্তা নিয়মবহির্ভূত ভাবে খেলার মাঠের অধিকাংশ জমি এবং ক্লাবের বেশকিছু সম্পত্তি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে। যদিও কোনও এনজিও কিংবা ক্লাব-লাইব্রেরির জমি কেনাবেচা ও হস্তান্তর করা যায় না। তবু কীভাবে বেচে দেওয়া হচ্ছে গয়েশবাড়ি ক্লাবের মাঠ? উঠেছে এমন প্রশ্নও। এই ক্লাবের এক প্রাক্তন সম্পাদক মোহাম্মদ একতারুল হকের দাবি, ক্লাবটি বহু বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন অবিলম্বে এই ক্লাব চালুর ব্যবস্থা করুক। সেই সঙ্গে খেলার মাঠের জমি রক্ষা করা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct