আপনজন ডেস্ক: পাঁচ বছরের কোচিং ক্যারিয়ার, এর মধ্যেই পাঁচ-ছয়টা ক্লাবে ঘোরাফেরা করে ফেলার ঘটনা এখানে খুব স্বাভাবিক। নতুন চাকরি খোঁজার জন্য জীবনবৃত্তান্ত হালনাগাদ করতে হয় প্রতিনিয়তই। ঠিক এ মুহূর্তে যেমন চাকরির বাজারে ঘোরাফেরা করছেন বেশ কয়েকজন নামী কোচ। সেসব ‘বেকার’ কোচের মধ্যে আছে হান্সি ফ্লিক, জিনেদিন জিদান, আন্তোনিও কন্তে, জোসে মরিনিও, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, হুলেন লোপেতেগি, গ্রাহাম পটারদের মতো বড় নাম। তাঁদের সবাই হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছেন, তা নয়। কেউ কেউ পছন্দের চাকরির জন্য বসে আছেন। কিন্তু বেশির ভাগই কাজ খুঁজতে এখানে-ওখানে জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে চলেছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন আলোচনা। এর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ নাম হান্সি ফ্লিক। ৫৮ বছর বয়সী এই জার্মান গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ‘বেকার’। বায়ার্ন মিউনিখ কোচ হিসেবে বেশ সফল হওয়ায় (৮৬ ম্যাচে ৭০ জয়, ২০১৯-২০ মৌসুমে ট্রেবল) ২০২১ সালে তাঁকে জার্মানি জাতীয় দলের কোচ করা হয়। কিন্তু ফ্লিকের অধীন খেলে ২৫ ম্যাচের মাত্র ১২টিতে জেতে জার্মানি। তাই চাকরি হারাতে হয় তাঁকে। ফ্লিকের তুলনায় ক্লাব ফুটবলে কোচ জিদানের সফলতা আরও বেশি। দুই দফায় রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউট সামলানো এই কিংবদন্তি কোচ হিসেবে জিতেছেন ১১টি ট্রফি। টানা তিন বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো এই ফরাসি ২০২১ সালের পর থেকে কোচিংয়ের বাইরে। জিদান, ফ্লিকদের তুলনায় ক্লাব কোচিংয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা জোসে মরিনিওর। ইতালির ক্লাব রোমা ছিল তাঁর দশম চাকরি। গত মাসে ক্লাব ছাড়তে হয়েছে মরিনিওকে। সাবেক ইতালি কোচ আন্তোনিও কন্তে টটেনহামে চাকরি খুইয়েছেন ২০২৩ সালের মার্চে। চেলসির সাবেক অধিনায়ক ল্যাম্পার্ড ক্লাবটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ছিলেন ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ দিকে। এভারটনে কাজ করে যাওয়া ল্যাম্পার্ড নিজের সাবেক ক্লাবে ভালো করতে পারেননি, চাকরিটাও আর স্থায়ী হয়নি। ২০২৩ সালের মার্চে ল্যাম্পার্ড যার জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই গ্রাহাম পটারও এখন পর্যন্ত বেকার। সাত মাসের মধ্যে ছাঁটাই হয়েছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct