আপনজন ডেস্ক: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের জন্য কোনো বাধা নেই। ইসরায়েলি বিরোধিতার কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টা স্থগিত হলে প্যারিস সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। শুক্রবার এ কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। খবর রয়টার্স।বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে যদি একতরফাভাবে ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয় তাহলে হয়তো বাস্তবে পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তনই আসবে না। কিন্তু এর প্রতীকী ও কূটনৈতিক প্রভাব থাকবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা করে বলেছেন, তিনি জর্ডানের পশ্চিমে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে আপস করবেন না। তার এই মনোভাব স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপরীত।ফরাসি আইনপ্রণেতারা ২০১৪ সালে তাদের সরকারকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার স্বীকৃতির আহ্বান জানাতে ভোট দিয়েছিলেন। এটি একটি প্রতীকী পদক্ষেপ যা ফ্রান্সের কূটনৈতিক অবস্থানে সামান্য প্রভাব ফেলেছিল।তবে প্রথম কোনো ফরাসি নেতা হিসেবে ম্যাক্রোঁই ফিলিস্তিন সম্পর্কে এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। তার এ ধরনের সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে যে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় যে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে তাতে পশ্চিমা নেতারা কতটা অসন্তুষ্ট।প্যারিসে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর পাশাপাশি ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এই অঞ্চলে আমাদের অংশীদাররা, বিশেষ করে জর্ডান, এটি নিয়ে কাজ করছে। আমরা তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছি। ইউরোপ ও নিরাপত্তা পরিষদে এতে অবদান রাখতে প্রস্তুত। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ফ্রান্সের জন্য নিষিদ্ধ নয়।’ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঋণী, যাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেক দিন ধরে পদদলিত করা হয়েছে। আমরা ইসরায়েলিদের কাছে ঋণী যারা শতাব্দীর কুখ্যাত ইহুদি-বিরোধী গণহত্যার মধ্য দিয়েও বেঁচেস আছে। আমরা এমন একটি অঞ্চলের কাছে ঋণী যা এর বিশৃঙ্খলাকারীদের এবং প্রতিশোধপরায়ণদের হাত থেকে বাঁচতে চায়।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct