আমাদের জীবনে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা ছাড়া আমরা যেন প্রাণহীন একটা জড় পদার্থ । ভাষা ছাড়া মনের ভাব পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করা কখনই সম্ভব নয় । যাঁরা মুখে কথা বলতে পারেন না, তাঁরা ইশারায় মনের ভাব প্রকাশ করেন। কিন্তু সে কি কখনও এভাবে মনের ভাব পরিপূর্ণ রূপে প্রকাশ করতে পারে ? এই প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ উত্তর কেবল তাঁর কাছেই রয়েছে, যিনি কথা বলতে পারেন না। আর আমরা সহজে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমেই। লিখেছেন সনাতন পাল।
আমাদের জীবনে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা ছাড়া আমরা যেন প্রাণহীন একটা জড় পদার্থ । ভাষা ছাড়া মনের ভাব পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করা কখনই সম্ভব নয় । যাঁরা মুখে কথা বলতে পারেন না, তাঁরা ইশারায় মনের ভাব প্রকাশ করেন। কিন্তু সে কি কখনও এভাবে মনের ভাব পরিপূর্ণ রূপে প্রকাশ করতে পারে ? এই প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ উত্তর কেবল তাঁর কাছেই রয়েছে, যিনি কথা বলতে পারেন না। আর আমরা সহজে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমেই । এই ভাষাতেই শিশু তার গর্ভধারিণীকে প্রথম ডাকে । মাতৃদুগ্ধ আমাদের কাছে যেমন অপরিহার্য, তেমনি মনের ভাব পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করতে মাতৃভাষাও আমাদের কাছে বিকল্পহীন । আমরা বাঙালি তাই আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। এই ভাষাতে ‘মা’ বলে ডাকলে আমরা যেমন মানসিক শান্তি পাই, মা নিজেও তেমনি অনির্বচনীয় তৃপ্তি পান । এ কথার সত্যতা সকলের অভিজ্ঞতায় নিশ্চিত রূপেই আছে। স্নেহ, মায়া, মমতা, দুঃখ-কষ্ট, ভালোবাসা এই সমস্ত কিছু মানসিক পরিস্থিতিকে পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে মাতৃভাষার বিকল্প অন্য ভাষা কখনই হতে পারে না। আমাদের মানসিক স্থিতিকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে শব্দ চয়ন এবং সেটাকে সঠিক ভাবে বাক্যে প্রয়োগ করে প্রকাশ করা মাতৃভাষাই সর্বশ্রেষ্ঠ । আমাদের কাছে সেই প্রাণের ভাষা হলো বাংলা । কোনো শিশু ভয় পেলে দৌড়ে গিয়ে সে তার মাকে জড়িয়ে ঝাপটে ধরে আর শিশুটি মনে মনে ভাবে, মা তার কষ্টতা বুঝতে পারছেন তো! আবার শিশুরা ক্ষুধা পেলেও যখন কান্না করে, তখন তার মধ্যেও ‘মা ‘ শব্দটি লুকিয়ে থাকে। অন্তত কথা শেখার প্রাক্ মুহূর্তে এমনটা সাধারণত বোঝা যায়। কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন খাবারের খোঁজে হন্যে হয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা চড়কির মতো পাক খাচ্ছেন। পেটের তাগিদের কথা বিবেচনা করলে খাদ্যের আন্দোলন যেখন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, তেমনি মনের ভাব প্রকাশের তাগিদে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বও অপরিসীম । কতদিন ধরে আজও আমরা ক্লান্তিহীন ভাবে বয়ে চলেছি সেই ঐতিত্য, ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে ওঠে। কানের কাছে বেজে ওঠে,” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি- আমরা কি ভুলিতে পারি!....” গানটি ১৯৬৯ সালে জাহির রায়হান তাঁর ‘ জীবন থেকে নেওয়া ‘ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন। বর্তমানে গানটি হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানি সহ মোট ১২ টি ভাষায় গাওয়া হয়। গানটি ১৯৫২ সালে আবদুল গাফফর চৌধুরী লিখেছেন এবং ১৯৫৪ সালে তাতে সুর দিয়েছেন আলতাফ মাহমুদ। ছেলে হারা শত মায়ের একুশে ফেব্রুয়ারি আজও আমাদের কাছে রক্ত রাঙানো, যে দিনটি স্মরণ করতে গেলেই চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে।
বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন। মাতৃভাষার জন্য লড়াই । দাবি ছিল একটাই— পূর্ব পাকিস্তানে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। কারণ তাঁদের মাতৃভাষা বাংলা। পাক সরকার বিরোধী সেই আন্দোলনে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েক জন। যাঁদের পরবর্তীকালে ‘ভাষা শহিদ’ আখ্যা দেওয়া হয়। মাতৃভাষার জন্য সেই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৭১ সালে জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। মাতৃভাষা আমাদের কাছে এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, সেই কারণে দেশ ভাগ হয়ে গেছে, রাজ্য পাঠ ভেঙে গেছে। সেই ভাষা আন্দোলনের জন্য একুশে ‘অমর’। ২০০০ সাল থেকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে একুশের জন্য গোটা বিশ্ব ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালন করে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। একুশের শহিদেরা হয়ে উঠেছেন বিশ্বের প্রতিটি বর্ণমালার পাহারাদার। আর তাঁদের উত্তরসূরিরা বাংলা অক্ষরের লালনকারী এবং নজরদার পাঠক। সেই একুশে ফেব্রুয়ারির গরিমাকে আরও বিস্তৃত করতে এবং বাংলা ভাষার সম্মান বিশ্বব্যাপী আরও ছড়িয়ে দেওয়াটাই এখন বাঙালির কাছে সময়ের চাহিদা । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়— ‘আ মরি বাংলাভাষা’। ‘ আ মরি বাংলাভাষা ‘ কথাটার মধ্যেই কেমন যেন একটা মমত্ববোধ লুকিয়ে আছে। আমাদের মনের ভাব প্রকাশের বর্ণমালা কেমন যেন হাঁ করে মোদের দিকে আকুল হয়ে চেয়ে আছে । বর্তমান সময়ে “ মিসকলের যুগেও আমরা নতুন নতুন শব্দের সন্ধানে মাছরাঙা পাখির মতো শব্দ কোষে অবগাহন করে শব্দ খুঁজে এনে বাংলা সাহিত্যকে সাতরঙা শাড়ি পড়িয়ে নব বধূরূপে সকলের সামনে হাজির করতে চাই। এই সাধ তো বাঙালির থাকবেই। এমন মধুর ভাষা এ ভূবনে আর একটাও আছে নাকি ? নেই। বাংলা ভাষার বিকল্প হলো একমাত্র বাংলা- “ মোরা বাংলায় কথা বলি- বাংলায় গান গাই।”জনসন যেমন বলেছেন -’ ভাষা হলো চিন্তার পোশাক’, তেমনি বেঞ্জামিন হ্যারিসন বলেছেন-’ মা এবং মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান’। কোনো শিশুর মুখে যখন প্রথম কথা ফোটে তখন তার ভেতরে প্রকাশ করার একটা উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়, ঠিক যেমন বসন্ত এলে গাছের ভেতরেও পলাশ ফোটার একটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ভালোবাসা যখন কারও হৃদয় কে তৃপ্ত করে, সেই তৃপ্তি সে সুন্দর করে পরিপূর্ণ ভাবে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রকাশ করতে পারে কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমেই। আবার আমাদের মনে বেদনা-বিরহে যে হৃদয় বিদারক মর্মস্পর্শী ভাবের সৃষ্টি হয় তখন তাকে অবিকল প্রকাশ করতে হলে মাতৃভাষার বিকল্প হয় না । যে ভাষার উপর যার ভালো দখল থাকবে তিনি সেই ভাষাতেই এই হৃদয় বিদারক আকুতি নিখুঁত ভাবে প্রকাশ করতে পারবেন । আমাদের প্রায় সকলেরই মাতৃভাষার উপরেই দখল সবচেয়ে বেশি সেই কারণে সুখ, দুঃখ সব কিছুই মাতৃভাষার মাধ্যমে সবচেয়ে ভালো ভাবে প্রকাশ করতে পারি। মাতৃভাষা হলো -ভাবের ভাষা, প্রাণের ভাষা । প্রেম থেকে দাম্পত্য কলহ সবেরই সাবলীল প্রকাশ ঘটে মাতৃভাষাতেই। আমাদের মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমাদের অনেকেরই শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। কারণ আমরা ঠিক যেখানে জন্ম গ্রহণ করি সেই গ্রামে বা শহরের নিজস্ব একটা আঞ্চলিক ভাষা থাকে । এই আঞ্চলিক ভাষাই হলো আমাদের প্রথম ভাষা। যেমন - কোনো একটা গ্রামের লোক খাবার চাইতে গিয়ে হয়তো বলছেন- ‘ মুক অ্যানা খাবা দাও দি-নি ‘। কিন্তু কোনো একটা শহরের মানুষ একই বিষয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে বলছেন-’ আমাকে একটু খাবার দাও ‘। এই দুটো ভাষাই কিন্তু বাংলা ভাষা। গ্রামের ঐ লোকটি যখন শহরে আসবেন তখন হয়তো তিনি শহরের ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করবেন । সেই কথার মধ্যে ঐ গ্রামের আঞ্চলিক ভাষার একটা টান মিশ্রিত হয়ে আর একটা ভিন্ন ধরণের ভাষার সৃষ্টি হয়। সেটাও বাংলা ভাষা। এই গ্রামের লোকটির কাছে তাঁর গ্রামের কথ্য ভাষাটাই হলো তাঁর জীবনের প্রথম ভাষা। সে শহরে এসে যখন শহরের মত করে কথা বলতে চাইবেন তখন আঞ্চলিক টান মিশ্রিত হয়ে যে বাংলা ভাষার জন্ম হবে, সেই ভাষা হলো ঐ ব্যক্তির কাছে দ্বিতীয় ভাষা । আর শহরের নিজস্ব ভাষাটা তখন তাঁর কাছে হয়ে যায় তৃতীয় ভাষা। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সব ভাষারই বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব অপরিসীম। এই ভাষা নাটক, যাত্রাপালা সহ সিনেমার জগতে সংলাপের মধ্যে উঠে আসে। কিন্তু শহুরে বাবুরা অনেক সময় গ্রামের ঐ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে দেখলে অনেকেই হাসি ঠাট্টা করে থাকেন । কিন্তু গ্রামের ঐ লোকটির কাছে তাঁর গ্রাম্য ভাষাতেই মনের ভাব প্রকাশ করা সবচেয়ে সহজ এবং ঐ ভাষাতেই সে পরিপূর্ণ ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। তাই গ্রামের লোকটির কাছে ঐ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তাঁর কাছে এই ভাষা মাতৃদুগ্ধ সম। কিন্তু লোকটি যদি হিন্দিতে কথা বলতে চান, তাহলে হিন্দি ভাষা তাঁর কাছে হবে চতুর্থ ভাষা। যদি সে ইংরেজীতে কথা বলতে চান, তাহলে তাঁর কাছে ইংরেজী হবে পঞ্চম ভাষা। এখন বিষয় হলো প্রথম থেকে কথা বলতে বলতে মিশ্র ভাষা, শহুরে ভাষা, হিন্দি ভাষা, ইংরেজী ভাষা যত এগোতে থাকবে তাঁর কাছে তত কঠিন বলে মনে হতে থাকবে। কিন্তু সারা ভারতবর্ষের মানুষ কে বুঝতে গেলে বা বোঝাতে গেলে এবং চিনতে গেলে কমন ভাষা হলো হিন্দি -সেটাও জানতে হবে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা। আবার সারা বিশ্বকে জানতে গেলে, বুঝতে গেলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলতে গেলে ইংরেজী ভাষা জানা দরকার। বাঙালির কাছে হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষা হলো প্রয়োজনের ভাষা-মনের ভাষা নয়, প্রাণের ভাষা নয়। তবে ভাষা নিয়ে নানা জনের নানা মত থাকতেই পারে- এবিষয়ে নিশ্চয়ই সবাই একমত হবেন যে ,ভাষা এবং লিপির জন্ম না হলে সভ্যতার অগ্রগতি কোনো মতেই সম্ভব হত না।
কিন্তু মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার যে বিকাশ ঘটে অন্য কোনো ভাষার মাধ্যমে সেটা হতেই পারে না। কারণ মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা যতটা হৃদয়ঙ্গম হবে সেটা অন্য কোনো ভাষাতে হবে না। মনের ভাব প্রকাশ করার সময় মনের সেই মুহূর্তের পরিস্থিতিকে ব্যক্ত করতে সঠিক শব্দ চয়ন এবং বাক্য গঠন কেবল মাতৃভাষাতেই সাবলীলভাবে সম্ভব। আর অন্য কোনো ভাষাতে এতো সাবলীলভাবে সম্ভব নয় বলেই মনে হয় । কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। কিন্তু ব্যতিক্রমকে নিয়ম বলে বিবেচনা করা চলে না। আদিবাসীদের ক্ষেত্রে শিক্ষার সুষ্ঠু এবং সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য ভীষণ ভাবে দরকার সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষাদান । কারণ একজন আদিবাসী ঘরের সন্তান সাঁওতালি ভাষায় যত মনোগ্রাহী ভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, অন্য কোনো ভাষায় এতো সাবলীল ভাবে সেটা সম্ভব নয়। পঠনপাঠনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয় মাতৃভাষার দ্বারাই। এই জন্যই সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা দানের জন্য অলিচিকি হরফের লিপিতে শিক্ষাদান কে আরও ভালো করে চর্চা করার জন্য চাই সরকারি সদিচ্ছা। ভাষার গুরুত্ব কতখানি সেটা একজন বধির যতটা উপলব্ধি করতে পারে ততটা উপলব্ধি করতে বোধহয় আর কেউ পারেন না। সে মনে দুঃখ পেলে দু-নয়নে শুধুই অশ্রু ঝরে, কারণ কাউকে বোঝাতে পারে না। এখন ঐ চোখের জলে কি ছবি আঁকা আছে সেটা আমাদের কাছে বোঝা ভীষণ কঠিন। যিনি বধির সে ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না জন্য তার যা কষ্ট হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট হয় যখন তাঁর মনের কথা আমরা কেউ বুঝতে পারি না,এটা সে মনে করে । সুতরাং মানব জীবনে ভাষার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমনি মাতৃভাষার গুরুত্বও সবচেয়ে বেশি। জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প কলা সব ক্ষেত্রেই মাতৃভাষার গুরুত্ব সর্বাধিক । আজকাল সন্তানের ভবিষ্যত পেশার অভিমুখ ঠিক করতেই অভিভাবকদের একটা বড় অংশ ইংরেজী মাধ্যমে তাঁদের সন্তানদের পড়াচ্ছেন। ফলে বাংলা ভাষার চর্চা খানিকটা কমে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলা ভাষার চর্চা ভীষণ ভাবেই জরুরি । রবীন্দ্র সাহিত্য বিশ্বে বাংলাভাষাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে সবচেয়ে বেশি। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যকে প্রবেশ করিয়েছেন অন্য ভাষার মধ্যে। রবীন্দ্র সংগীত শুনলে যেমন বোঝা যায় বাংলা ভাষার কি না- অপরূপ মাধুর্য, তেমনি জীবনানন্দের কবিতা পড়লেই মনে হয় বাংলা ভাষার মত বিশ্বের কোনো ভাষাই রূপসী বাংলার রূপকে এমন ভাবে ব্যক্ত করতে পারে না। তাই মোদের মাতৃভাষা -বাংলা ভাষা, মোদের গৌরব। আমাদের মত সবার মাতৃভাষাই তাঁদের কাছে গৌরবের ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct