আদরের নাতি
বাপি ফকির
রাজবাবু পাঁচ মেয়ে পর একটা ছেলে হয়, রাজাবাবু মা তার নাতির নাম রাখেন আবদুল্লা। ছেলে যা চাই রাজাবাবু তাই দেয়, তাঁর স্ত্রী বললেন আর ছেলেকে আদর দিয়োনা, একদিন এই ছেলে বাঁদর হয়ে যাবে। তাঁর শ্বাশুড়ি বললো আমার নাতি বাঁদর তোর কী। আবদুল্লাকে বেশি ভালো ভালোবাসতো তার দাদি, তাই তিনি নাতির জন্য ভিক্ষা করে,তার একটা মোবাইল ফোনে কিনে দেয়। রাজ এক কৃষক ছিলেন তিনি যা কাজ করেন, তাতে সংসার চলে যায়। তিনি যখন তার ছেলে বিদ্যালয়ের ভর্তি করে দেয়। আবদুল্লাহ পড়া পারে নি, মাষ্টার মশাই একগা মার দেয়, সেনের থেকে বলে আমি আর পড়াশোনা করবোনা। বিদ্যালয়ের গিয়ে পড়াশোনা করতে চাইনা। রাজবাবু মা বলেন, এই রাজ আমার নাতি বিদ্যালয়ের আর পাঠাবো না। রাজ সারা দিন মাঠে কাজ করে বাড়ি ফিরে আসে, সেই তাঁর ছেলে এসে বলে বাবা আমার একটা মোবাইল ফোন কিনে দিতে হবে,রাজ বলেন এত টাকা কোথায় পাবো, আমি যা কাজ করি। তা দিয়ে সংসার চলে না,তোর মোবাইল ফোন কিনে দিতে পারবোনা। রাজবাবুর শুনে দৌড়ে আসে, এসে নাতিকে কোলের কাছে টেনে আনে। বললেন এই আমি তোর মোবাইল ফোন কিনে দেবো, এই বলে নাতিকে বোঝান,নাতি বললেন দাদি টাকা কোথায় পাবেন,দাদি বলেন চিন্তা করিস না, টাকা আমি জোগাড় করে নেবো। পরের দিন সকালে উঠে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে যায়, টানা এক মাস ভিক্ষা করে, সেই টাকা দিয়ে নাতির মোবাইল ফোন কিনে দেয়।তাঁর একটা বছর পর আবার বায়না ধরে,দাদি আমার একটা বাইক কিনে দিতে হবে। দাদি তাতে রাজি হয়ে যায়, একটানা এক বছর ভিক্ষা করে।একদিন ভিক্ষা করে বাড়ি ফির ছিলেন, সেই সময় এক্সিডেন্ট মারা যায়।
(লেখক একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী)
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct