আপনজন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ১৬তম মুসলিম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (এএমএএ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আলবার্ট পার্কে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা মিশন অব হোপ। এবারের এই আয়োজনের মূল স্লোগান ছিল ফিলিস্তিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন পাঠ করেন এলসেডেক হাইডেলবার্গ মসজিদের ইমাম শায়খ আলা আল-জাকুম ওম।এতে ইভেন্ট অব দ্য ইয়ার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ইসলামিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএমএ) জাতীয় সম্মেলনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মুসলিম চিকিত্সকদের অবদান তুলে ধরায় এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. ওমর শারিফকে সম্মাননা দেওয়া হয়। বেস্ট নিউ কমিউনিটি প্রজেক্ট হিসেবেও প্রতিষ্ঠানটি স্বীকৃতি পায়। এর সম্মেলনে আধুনিক চিকিত্সাবিজ্ঞান ও ইসলামী নৈতিকতাবোধ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিজনেস অব দ্য ইয়ার হিসেবে দ্য অস্ট্রেলিয়ান ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম এক্সচেঞ্জ প্রগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তা ছাড়া বর্ষসেরা সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামোফোবিয়া রেজিস্ট্রার সাহারা আত্তাই ও ড. সুসান কারল্যান্ড, বর্ষসেরা মিডিয়া আউটলেট হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম টাইমস, বর্ষসেরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রুবিনাহ আহমদ, বর্ষসেরা ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে ড. রান্ডা আবদুল ফাত্তাহ এবং বর্ষসেরা নারী হিসেবে ড. মেহরিন ফারুকীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে সামাজিক ন্যায়বিচার দাবিতে জোরালো ভূমিকা রাখায় মেয়র বিলাল আল-হায়েক, আসিল তায়াহ, নাসের মাশনিসেকে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ক্রিকেটার উসমান খাজা, বর্ষসেরা প্রফেশনাল ড. জাভেদ হাভেরিক, বর্ষসেরা মডেল মারওয়া আবু জায়েদ, বর্ষসেরা তরুণ আসালা সায়ারা, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট হিসেবে জানেথ দিন ওম এবং ম্যান অব দ্য ইয়ার হিসেবে ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে সম্মাননা দেওয়া হয়।অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হানান ডোভার বলেন, ‘সবার কাছে মুসলিমদের অবদান তুলে ধরতে এবং তাদের অর্জন উদযাপন করতে আমরা এএমএএ প্রতিষ্ঠা করি। পরস্পরের স্বীকৃতি এবং একে অন্যের অর্জন উদযাপন করতে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বছর আমরা অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের ১৬তম পর্ব উদযাপন করি।’মুসলিম প্রতিভা ও অবদান প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইবরাহিম আবু মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘সমাজে অনেক প্রতিভাবান মুসলিম রয়েছেন যাদের আমরা চিনি না।আমরা বা সমাজের অন্যরা তাদের ভূমিকা সম্পর্কে কিছুই জানে না। অস্ট্রেলিয়ান সমাজের অগ্রগতি ও উন্নয়নে সবার ইতিবাচক বিষয় আমাদের তুলে ধরতে হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct