সেখ মহম্মদ ইমরান, মেদিনীপুর, আপনজন: মেদিনীপুরের ঊরুষ উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার হলো। মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে মহান সুফি সাধক হজরত সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদি মওলা পাক এর ১২৩ তম বার্ষিক উরস উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে একটি স্পেশাল ট্রেনে করে ২৪টি বগিতে মোট ২২৫৬ জন তীর্থযাত্রী যার মধ্যে পুরুষ ১৩১৫ জন, মহিলা ৮৫৩ জন, শিশু রয়েছে ৮৪ জন শুক্রবার ভোরে মেদিনীপুর স্টেশনে নামে। মেদিনীপুর স্টেশনে তারা নামতেই তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হলো ভারতীয়দের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর পৌরসভার আধিকারিকদের মাধ্যমে।
জানা যায়, হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আলকাদেরি আলবাগদাদি (মওলা পাক) সুফি সাধনার প্রসারে এই মহান তাপসের প্রপিতামহ ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বাগদাদ থেকে ওড়িশার চাঁদবালি বন্দর হয়ে ভারতে আসেন। মওলাপাক এর প্রপৌত্র বড় হুজুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ রশিদ আলী আল কাদেরী আল বাগদাদি পাকের বর্তমান স্থলাভিষিক্ত সাজ্জাদানশীন, মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ ও মাজার পাকের মোতাওয়াল্লী, রাসূলে পাকের ৩৬ তম এবং হুজুর গওস পাকের ২৩ তম বংশধর গওসে যামা হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে এই উরস উৎসব উপলক্ষে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণ ও দায়রাপাকে যথাযথভাবে গম্ভীর পরিবেশে ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই উরস উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন। আঞ্জুমান ই কাদেরিয়ার সভাপতি মাহাবুল আলম জানান, ১৯০২ সাল থেকে এই মৈত্রীর সম্পর্ক আজও অটুট রয়েছে দুই দেশের। তিন দিনের এই সফর সেরে ১৮ তারিখ রাত দশটা নাগাদ একই ট্রেনে ফিরে যাবেন পুণ্যার্থীরা। তবে ট্রেন ছাড়াও বাস ও আকাশপথে আরও অনেক বাংলাদেশের পূণ্যার্থীরা এখানে হাজির হয়েছেন।মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিবারই বাংলাদেশ থেকে আসা এই সমস্ত পুণ্যার্থীদের জন্য অভ্যর্থনা জানানোর ব্যবস্থা থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct